ফাল্গুনে রাঙানো শিমুল বাগান

সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার উত্তর বড়বদল ইউনিয়নের মানিগাঁও গ্রামের এক কোণে বিশাল এই শিমুল বাগান৷একশ’ বিঘারও বেশি জায়গাজুড়ে এ বাগানে এখন তিন হাজারেরও বেশি গাছে রক্তরাঙা শিমুল ফুল শোভা পাচ্ছে৷

বিশাল এলাকাজুড়ে বিস্তৃত এই শিমুল বাগান৷ এত বড় শিমুল বাগান বাংলাদেশে আর কোথাও নেই৷

বসন্তে এ শিমুল বাগানের ডালে ডালে ফোটে রক্ত রাঙা শিমুল৷ ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি থেকে শুরু করে মার্চ মাসের প্রায় শেষ অবধি এ বাগান ফুলে ভরপুর থাকে৷

প্রায় ১৪ বছর আগে শিমুলের এই বাগান রচনা করেছিলেন বৃক্ষপ্রেমী জয়নাল আবেদীন৷ তিনি এখন বেঁচে নেই, তবে তাঁর সেই স্বপ্ন ডালপালা গজিয়ে মহীরুহ হতে শুরু করেছে৷

মানিগাঁও গ্রামের এই শিমুল বাগানের পাশ দিয়েই বয়ে গেছে পাহাড়ি নদী জাদুকাটা৷ এটি বাংলাদেশের অন্যতম সুন্দর নদীগুলোর একটি৷

ফুল আছে, সেখানে পাখি থাকবে না এ কী করে হয়! মানিগাঁও গ্রামের শিমুল ফুলে মধু খেতে পাখিরা তাই ভিড় জমায় ডালে ডালে৷

ফেব্রুয়ারি এবং মার্চ – এই দু’মাসই শিমুল বাগান ভ্রমণের আসল সময়৷ তবে যখন জুলাই-সেপ্টেম্বর সবুজ পাতায় ছেয়ে থাকা এ বাগানে ভ্রমণে ভিন্নতার স্বাদ পাওয়া যাবে৷

অনেক প্রকৃতিপ্রেমী পর্যটক এই শিমুল বাগান দেখতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে যান তাহিরপুরের মানিগাঁও গ্রামে৷

ঢাকা থেকে রাতে ভ্রমণ শুরু করে পরের দিনটা ঘুরে আবার রাতের বাসেই ফিরে আসা সম্ভব৷ যে কোনো উপায়ে সুনামগঞ্জ জেলা শহরে গিয়ে সেখান থেকে ভাড়ায় মোটরবাইকে সহজে পৌঁছানো যায় এ বাগানে৷