স্পেনের ১১ জন!
৯ জানুয়ারি ২০১৩আট বছর ধরে ফিফার এই কাল্পনিক পেশাদারি দল বাছাই চলেছে৷ তার মধ্যে এই প্রথমবার একটি দেশের ফুটবল ক্লাবগুলি থেকে সব ক'টি প্লেয়ার বাছা হলো৷ এর থেকে বোঝা যায়, স্পেনের লা লিগাকে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ফুটবল লিগ বলে কেন৷
সাম্প্রতিক কয়েক বছরে কি ক্লাব ফুটবল, কি আন্তর্জাতিক ফুটবলে স্পেনের আধিপত্য এমনই যে, হাতে-গোনা কিছু প্লেয়ারকে কেন্দ্র করেই বার বার বিশ্ব অল-স্টার তৈরি হয়েছে৷ তাদের মধ্যে সর্বাগ্রে নাম করতে হয়ে চতুর্থবারের মতো বালঁ দ'র জেতা ব্যতিক্রমী খেলোয়াড় লিওনেল মেসি'র৷ ২০০৭ সাল থেকে এই পেশাদারি অল-স্টার টিমে আছেন তিনি৷ গোলরক্ষক ইকার কাসিয়াস আর প্লে-মেকার সাবি আছেন ২০০৮ সাল থেকে৷ খেলা সাজানোয় সাবি'র যমজ আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা আর রেয়াল মাদ্রিদে মেসি'র জোড়োয়া ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্দো তালিকায় আছেন বিগত চার বছর ধরে৷
এটা তো হল ২০১২'র অল-স্টার টিম৷ বলতে কি, ২০১১ সালের অল-স্টারে শেষ দু'জন ‘বাইরের' খেলোয়াড় ছিলেন ম্যানচেস্টারের ওয়েন রুনি এবং নেমানিয়া ভিডিচ: তাঁদেরও এবার জায়গা ছাড়তে হয়েছে লা লিগার আরো দু'জন খেলোয়াড়ের জন্য৷ এঁরা হলেন অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের স্ট্রাইকার রাদামেল ফালকাও এবং রেয়াল মাদ্রিদের ব্রাজিলিয়ান লেফট-ব্যাক মার্সেলো৷ কাজেই ফিফ-প্রো একাদশে এবার লা লিগার বাইরে কোনো প্লেয়ারই রইল না৷
তা'ও তো ইংল্যান্ডের ক্লাবগুলো থেকে দু-একজন প্লেয়ার এ পর্যন্ত ঠাঁই পেয়ে আসছিল৷ জার্মানির বুন্ডেসলিগা কিংবা ফ্রান্সের লিগা অ্যাঁ'র ক্ষেত্রে তা'ও বলা যায় না৷ ইটালির সেরিয়ে আ'র সেরা খেলোয়াড়রাও ২০১০ সাল যাবৎ বাদই পড়েছেন৷ কাজেই জুরিখে বাল দ'র পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে অনেককেই মাথা নাড়তে দেখা গেছে৷ চেলসির অ্যাশলে কোল তো ঠাট্টা করে টুইট করেছেন: ‘আমার একটা স্পেনীয় পাসপোর্ট চাই'৷
ইউভেন্তুসের মিডফিল্ডার আন্দ্রেয়া পির্লো, প্যারি সাঁ-জামা'র স্লাটান ইব্রাহিমোভিচ কিংবা চেলসির হিরো দিদিয়ের দ্রোগবা, এদের সকলেই এই অল-স্টার দলে থাকতে পারতেন – কিন্তু নেই৷ কারণটা হয়ত খুব সহজ: তাঁরা ভালো খেলেন বটে, কিন্তু স্পেনের ঐন্দ্রজালিক ফুটবল তো আর খেলেন না!
এসি/ডিজি (এএফপি)