ফিফা’র দুর্নীতি
১২ জুলাই ২০১২ফিফা অবশেষে একটি সুইস আদালতের নথিপত্র প্রকাশ করল যা থেকে প্রমাণ হয় যে, টেইক্সেইরা ১৯৯২ থেকে ১৯৯৭ সালের মধ্যে বিশ্বকাপে ফিফার মার্কেটিং সহযোগী আইএসএল সংস্থার কাছ থেকে ১৩ মিলিয়ন ডলার ঘুষ পান৷ সুইজারল্যান্ড ভিত্তিক কোম্পানিটি ২০০১ সালে দেউলিয়া হয়, যার ফলে একটি তদন্ত শুরু হয়৷ এই তদন্তে দেখা যায় যে, আইএসএল নিয়মিতভাবে খেলাধুলার জগতের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের প্রভাবিত করত৷
সুইশ আদালতের ৪১ পাতার নথিটিতে এ'ও দেখা যায় যে, হাভেলাঞ্জ ১৯৯৭ সালে আইএসএল'এর কাছ থেকে প্রায় এক মিলিয়ন ডলার পান৷ এর পরের বছরই ফিফার বর্তমান প্রেসিডেন্ট সেপ ব্লাটার হাভেলাঞ্জের স্থলাভিষিক্ত হন৷
হাভেলাঞ্জ এবং টেইক্সেইরার সঙ্গে ‘‘যুক্ত'' বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে ১৯৯২ সাল থেকে ২০০০ সালের মধ্যে মোট ২২ মিলিয়ন ডলার জমা পড়েছে৷ অবশ্য আইএসএল ১৯৮৯ থেকে ২০০১ সালের মধ্যে বিভিন্ন স্পোর্টস কর্মকর্তাদের মোট ১৩৮ মিলিয়ন ডলার ঘুষ দিয়েছে৷ ফিফা ২০০২ এবং ২০০৬ সালের বিশ্বকাপের টেলিভিশন সম্প্রচারের অধিকারসমূহ আইএসএল'কে প্রদান করে৷
সুইজারল্যান্ডের সুগ ক্যান্টনের সরকারি কৌঁসুলিরা ফিফা কর্মকর্তাদের মধ্যে দুর্নীতি নিয়ে যে তদন্ত শুরু করেন, তা ২০১০ সালের মে মাসে বন্ধ করে দেওয়া হয়৷ আপোশের শর্ত ছিল, হাভেলাঞ্জ এবং তাঁর জামাতা টেইক্সেইরা সব মিলিয়ে প্রায় তিন মিলিয়ন ডলার ফেরৎ দেবেন৷ বলাই বাহুল্য, ফিফা এই আপোশ সম্পর্কে পুরোপুরি ওয়াকিবহাল ছিল৷ আপোশের একটি শর্ত ছিল, দুই ব্রাজিলিয়ান হাভেলাঞ্জ এবং টেইক্সেইরার নাম প্রকাশ করা চলবে না৷
বুধবার সুইজারল্যান্ডের সুপ্রিম কোর্ট আদত তদন্তের নথিপত্র প্রকাশ করার নির্দেশ দেয়৷ এখন প্রশ্ন হল: ফিফার বর্তমান প্রেসিডেন্ট সেপ ব্লাটার ব্যাপারটার কতোটুকু জানতেন?
এসি / জেডএইচ (এপি, ডিপিএ)