ফিলিপ লামের বর্নিল ফুটবল ক্যারিয়ার
চলতি মৌসুম শেষে ফুটবল থেকে পুরোপুরি অবসরের ঘোষনা দিয়েছেন জার্মান দলের সাবেক অধিনায়ক ফিলিপ লাম৷ ছবিঘরে থাকছে লামের ১৫ বছরের ফুটবল ক্যারিয়ারের উজ্জ্বল কিছু স্মৃতির কথা৷
শৈশবেই সম্ভাবনার দ্যুতি
মিউনিখে জন্ম নেয়া লাম মাত্র বারো বছর বয়সে বায়ার্নের ফুটবল অ্যাকাডেমিতে যোগ দেন৷ ছোটবেলা থেকেই ভক্ত তিনি, এমনকি মিউনিখের অলিম্পিক স্টেডিয়ামে বলবয় হিসেবেও কাজ করেছেন৷ মাত্র সতের বছর বয়সেই বায়ার্নের মনোযোগ আকর্ষণে সক্ষম হন লাম৷
যখন থেকে পেশাদার
চ্যাম্পিয়নস লিগে লামের প্রথম আবির্ভাব ঘটে ২০০২ সালের ১৩ নভেম্বর, লেন্সের বিপক্ষে৷ উনিশতম জন্মদিনের মাত্র দু’দিন বাকি ছিল সেদিন৷ আর সেটা ছিল স্টুটগার্টের হয়ে ধারে দু’বছর খেলার আগে বায়ার্নের পক্ষে তাঁর একমাত্র ম্যাচ৷ লামের সহায়তায় স্টুটগার্ট টানা দুই মৌসুম তৃতীয় হয়েছিল৷
জাতীয় দলে অভিষেক
ধারে স্টুটগার্টে খেলার সময়ই জার্মানির জাতীয় দলে সুযোগ পান ফিলিপ লাম৷ ২০০৪ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি জাতীয় দলের হয়ে প্রথম বারের মতো মাঠে নামেন তিনি এবং দ্রুতই ‘লেফট ব্যাকে’ কোচ ব়্যুডি ফোলারের প্রথম পছন্দ হয়ে ওঠেন৷ লামের প্রথম গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট ছিল ২০০৪ ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ৷
প্রথম বুন্ডেসলিগা শিরোপা
হাঁটুর ইনজুরির কারণে ২০০৫ সালে ছয় মাস মাঠের বাইরে ছিলেন লাম৷ মাঠে ফেরার পর অবশ্য বড় দলে যেতে তাঁর খুব একটা বেগ পেতে হয়নি৷ বায়ার্নের হয়ে নিজের প্রথম মৌসুমে ২৯ বার মাঠে নামেন তিনি, দলও শিরোপা জয় করে৷
বিশ্বকাপের আগে বিয়ে
দক্ষিণ আফ্রিকায় ২০১০ সালের বিশ্বকাপ শুরুর মাত্র কয়েকদিন আগে ক্লাউডিয়া শ্যাটেনবের্গকে বিয়ে করেন ফিলিপ লাম৷ বিয়েতে তিনি ছাড়া একমাত্র ফুটবলার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তাঁর সাবেক টিমমেট আন্দ্রেয়াস ওঁটেল৷ লাম বর্তমানে মিউনিখের কাছের শহর বোগেনহাউসেনে বসবাস করেন৷
জার্মানির অধিনায়ক
ইনজুরির কারণে মিশায়েল বালাক বাদ পড়ায় দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপে অধিনায়কত্বের দায়িত্ব ফিলিপ লামের কাঁধে তুলে দেন কোচ ইওয়াখিম ল্যোভ৷ লামের নেতৃত্বে আগের বারের মতো সেবারও জার্মানি তৃতীয় হয়েছিল৷
সবচেয়ে বড় অর্জন
ক্লাব পর্যায়ে সাফল্যের চূড়ায় ওঠার এক বছর পরই আন্তর্জাতিক ফুটবলে সবচেয়ে বড় পুরস্কারটা পান লাম৷ ২৪ বছর পর তাঁর নেতৃত্বেই আবার বিশ্বকাপ জেতে জার্মানি৷ বিশ্বকাপ জয়ের পরই আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসরের ঘোষণা দেন লাম৷