ফিলিপাইন্সে গর্ভপাত বৈধ করার আহ্বান
৩ আগস্ট ২০১০নিউইয়র্ক ভিত্তিক সেন্টার ফর রিপ্রোডাকটিভ রাইটস নামের সংস্থাটির আইন উপদেষ্টা মেলিসা আপরেটি বলেছেন, ‘‘গর্ভাবস্থা যেসব ক্ষেত্রে মায়ের জীবনের জন্য ঝুঁকি হয়ে দাঁড়ায় সেসব ক্ষেত্রে গর্ভপাতকে বৈধ করা উচিত৷ এছাড়া ধর্ষণের ফলে কেউ গর্ভবতী হয়ে পড়লে তাকেও গর্ভপাত করার অনুমতি দেওয়া উচিত৷ তার জন্য ফিলিপাইন্সের এই সংশ্লিষ্ট আইন সংশোধন করা প্রয়োজন৷'' তিনি আরও বলেন, গর্ভপাত করার অনুমতি না দিয়ে সরকার সেদেশের নারীদের অধিকার খর্ব করছে৷
প্রায় নয় কোটি মানুষের দেশ ফিলিপাইনস৷ সেখানকার বেশির ভাগ মানুষই ক্যাথলিক খ্রিষ্টান৷ সব রকমের গর্ভপাত সেখানে নিষিদ্ধ৷ কোন অবস্থাতেই গর্ভপাত করার অনুমোদন নেই ওই দেশে৷
নিউইয়র্কে অবস্থিত সেন্টার ফর রিপ্রোডাকটিভ রাইটস সংস্থাটির একটি সমীক্ষায় বলা হয়েছে, প্রতিবছর ফিলিপাইন্সের প্রায় ৫ লাখ ৬০ হাজার নারী গর্ভপাতের জন্য অবৈধ ও জীবনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ এমন পদ্ধতির আশ্রয় নেন৷ সমীক্ষাটিতে আরও দেখা গেছে, তাদের মধ্যে প্রায় ৯০ হাজার নারী জটিল শারীরিক সমস্যায় পড়ছেন এবং এতে প্রতিবছর মারা যাচ্ছেন প্রায় ১ হাজার নারী৷
ইন্সটিটিউট ফর সোস্যাল স্টাডিজ অ্যান্ড অ্যাকশন সংস্থার প্রধান ফ্লোরেন্স ম্যাকাগবা তাদিয়ার বলেছেন, তাঁর আশা প্রেসিডেন্ট তৃতীয় বেনিনো আকিনোর সরকার সুনির্দিষ্ট কিছু অবস্থায় গর্ভপাত অনুমোদনে উদার মানসিকতার পরিচয় দেবে৷ তিনি বলেন, ‘‘গর্ভপাতের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি মানে জীবনের জন্য হুমকি৷ বিপজ্জনক অবস্থায় গর্ভপাতের কারণেই কত নারীকে যে জীবন দিতে হচ্ছে!'
নারী অধিকার নিয়ে কাজ করে এমন আরেকটি সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক আইনজীবী ক্লারা রিটা পাডিয়া বলেছেন, ‘‘এই নিষেধাজ্ঞা নারীদের অবাঞ্ছিত গর্ভ রোধ করতে ব্যর্থ হচ্ছে৷ নিরাপদ ও বৈধ উপায়ে গর্ভপাতের সুযোগ না থাকায় তা দেশটির গণস্বাস্থ্যের জন্য একটি হুমকি তৈরি করছে৷''
প্রতিবেদন: জান্নাতুল ফেরদৌস
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক