ফিলিস্তিনের আরো বড় হুমকি হবে ইসরায়েল?
১৭ মার্চ ২০১৫মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ নেসেটের ভোট হয়ে গেল ইসরায়েলে৷ ১২০টি আসনের নির্বাচনে কি নেতানিয়াহুর লিকুদ পার্টি জিততে পারবে? আবার প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন নেতানিয়াহু? জনমত জরিপ বলছে, এ নির্বাচনে মধ্য-বামপন্থি দল জিওনিস্ট ইউনিয়নের চেয়ে তিন থেকে চারটি আসন কম পাবে লিকুদ পার্টি৷ কিন্তু জরিপই তো শেষ কথা নয়৷ নির্বাচনের ঠিক আগের মুহূর্তের কিছু বিষয়ও মাঝে মাঝে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে৷ নেতানিয়াহু সেই চেষ্টাই করেছেন৷
নির্বাচনের আগে নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, ২০০৯ সালে ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পক্ষে মত দিলেও এখন তিনি ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের অস্তিত্বই মানতে নারাজ৷ ‘এনআরজি' নামের একটি ওয়েবসাইট এ বিষয়ে সরাসরি প্রশ্ন করেছিল তাঁকে৷ নেতানিয়াহুও সরাসরিই বলেছেন, ‘‘হ্যাঁ, আমি পুনর্নিবাচিত হলে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হতে দেবো না৷'' ছ'বছর আগে ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনের মধ্যে সহাবস্থানের পক্ষে কথা বলে এখন কেন সম্পূর্ণ উল্টো অবস্থানে নেতানিয়াহু? কারণটা তিনি সরাসরিই বলেছেন৷ তাঁর মতে, এখন স্বাধীন ফিলিস্তিন হলে সেই রাষ্ট্র শাসন করবে ইসলামি জঙ্গিরা৷ এমন একটি কারণ দেখিয়েই ‘ফিলিস্তিনের সঘোষিত শত্রু' হয়ে নির্বাচনে ভোট প্রার্থনা করছেন লিকুদ পার্টির শীর্ষ নেতা৷
কিন্তু ইসরায়েলের সাধারণ মানুষ কি নেতানিয়াহুর ফিলিস্তিনবিরোধী মনোভাবকে খুব ভালোভাবে নিয়েছে? উত্তরটা হয়ত নির্বাচনের ফলাফলেই সবচেয়ে বেশি প্রতিফলিত হবে৷
সম্প্রতি রিপাবলিকান দলের আমন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়ে কংগ্রেসে ভাষণ দিয়েছেন নেতানিয়াহু৷ দু'দেশের সম্পর্কের ক্ষতিই হয়েছে তাতে৷ মঙ্গলবারের নির্বাচনে ইসরায়েলের জনগণ যে দল বা জোটকে দেশ শাসনের ভার দেবে সেই দল বা জোটকে দু'দেশের সম্পর্ক উন্নয়নের জন্যও কাজ করতে হবে৷
এবারের নির্বাচনে ২৫টি দল অংশ নিচ্ছে৷ সর্বশেষ জনমত জরিপ অনুযায়ী, এর মধ্যে ১১টি দল ক্নেসেটে প্রতিনিধি পাঠাতে পারবে৷ ইসরায়েলের নির্বাচনে ৩ দশমিক ২৫ ভাগ ভোট পেলে যে কোনো দলই সংসদে যেতে পারে৷
এসিবি/ডিজি (এএফপি)