1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফুটবল দাঙ্গা রোধে জার্মানির ভিন্ন উদ্যোগ

১৫ নভেম্বর ২০১১

জার্মান ফুটবলের সুখ্যাতির শেষ নেই৷ কিন্তু সেই সুখ্যাতিতে কালিমা লেপে দিচ্ছে অল্প কিছু ভক্ত৷ তাদের আগ্রাসী এবং সহিংস মনোভাব খেলার মাঠকে করে তোলে উত্তপ্ত৷ এধরনের ভক্তদের সামলাতে এবার ভিন্ন ধরনের এক উদ্যোগ নিচ্ছে জার্মানি

https://p.dw.com/p/13AhK
ফুটবল গুন্ডাদের দৌরাত্ম, অগ্নিসংযোগ, বুলগারিয়ায়ছবি: picture-alliance/dpa

জার্মান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় খেলার মাঠের পরিবেশ আরো নিরাপদ করতে চায়৷ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হান্স-পিটার-ফ্রিডরিশ চাইছেন, ভক্তরা অন্তত কিছু শোভন আচরণ বিধি মেনে চলুক৷ জার্মান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (ডিএফবি) এই লক্ষ্য অর্জনে একটি বিশেষ আলোচনা সভার আয়োজন করছে৷ সেখানে ভক্ত এবং পুলিশ, মানে যারা উত্তেজনা সৃষ্টি করছে আর যারা দমনের দায়িত্বে আছেন, উভয় পক্ষকেই আমন্ত্রণ জানানো হবে৷ সোমবার এই বিষয়ে একটি পরিকল্পনায় সম্মতি প্রদান করেছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং ডিএফবি'র কর্মকর্তারা৷

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ফ্রিডরিশ জানিয়েছেন, ভক্তদের সঙ্গে সংলাপ চালানো আমাদের মূল লক্ষ্য৷ আলোচনা সভায় উচ্ছৃঙ্খল ভক্তদেরকেও আমন্ত্রণ জানানো হবে, যাতে তারা শান্ত ফুটবল সমর্থকদের সঙ্গে মিলিত হওয়ার সুযোগ পায়৷

খেলার মাঠে সহিংসতা রোধে জনসচেতনতামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে ফ্যান প্রজেক্ট৷ জার্মান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন এবং সরকার এই প্রকল্পে অর্থ সহায়তা প্রদান করছে৷ ডিএফবি প্রধান থেও সোয়ানসিগার এরকম ৫০টি প্রকল্পের কর্মকাণ্ডকে ‘সমাজের প্রয়োজনে সামাজিক উদ্যাগ' হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন৷

তিনি জানান, জার্মানিতে প্রতি সপ্তাহান্তে অসংখ্য ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়৷ এসব খেলা উপভোগ করতে আসা ৯৯ শতাংশ সমর্থকই শান্তিপূর্ণ আচরণ করেন৷

সাম্প্রতিক সময়ে উচ্ছৃঙ্খল ফুটবল ভক্তদের নেতিবাচক প্রচারণার শিকার হয়েছেন গোলরক্ষক মানুয়েল নয়ার৷ শালকে ০৪ ছেড়ে বায়ার্ন মিউনিখে যোগ দেওয়ায় তাঁর আগের ক্লাবের কিছু ভক্ত বেজায় চটেছে তাঁর উপর৷

ফ্যান প্রজেক্টের সমন্বয়ক মিশায়েল গাব্রিয়েল মনে করেন, ভক্তদের সঙ্গে এমনভাবে আচরণ করতে হবে, যাতে তাঁরা মনে করেন যে, তাদের সঙ্গে পক্ষপাতহীনভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে৷ এটা সম্ভব হলে খেলার মাঠে সমর্থকদের উচ্ছৃঙ্খলতা কমতে পারে বলেও মনে করেন গাব্রিয়েল৷

যাহোক, ফুটবল দাঙ্গা বন্ধ করতে জার্মান সরকার এখন আরো বেশি উদ্যোগী হচ্ছে, আসন্ন আলোচনা সভা সেই ইঙ্গিতই বহন করছে৷ তাছাড়া আলাদা আলাদা দলের সমর্থকদের জন্য খেলা চলাকালে আলাদা আলাদা যোগাযোগ ব্যবস্থা, প্রয়োজন অনুসারে বাড়তি পুলিশি নিরাপত্তা আগে থেকেই চালু রয়েছে৷

প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক