ফুরফুরা শরিফের পিরজাদার সঙ্গে জোট ওয়েইসির
৪ জানুয়ারি ২০২১কার্যত সকলের চোখের আড়ালে পশ্চিমবঙ্গ ঘুরে গেলেন এমআইএম নেতা আসাউদ্দিন ওয়েইসি। বৈঠক করলেন ফুরফুরা শরিফের পিরজাদা আব্বাস সিদ্দিকির সঙ্গে। আলোচনা হয়েছে আগামী নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে আসন সমঝোতা নিয়ে। ওয়েইসি বলেছেন, আব্বাস সিদ্দিকির নেতৃত্বে জোটে লড়বে এমআইএম। জোটের বিষয়ে সিদ্দিকিই সিদ্ধান্ত নেবেন।
পশ্চিমবঙ্গে ৩০ শতাংশের কাছাকাছি মুসলিম ভোট। এবারের ভোটে মুসলিম ভোট গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল এবং বিজেপির ভোট শতাংশের তফাত ছিল মাত্র দুই-তিন শতাংশ। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, বিজেপি এই পরিমাণ ভোট পেয়েছিল পশ্চিমবঙ্গে সাম্প্রদায়িক মেরুকরণের কারণে। এ বছরের বিধানসভা নির্বাচনেও মেরুকরণের প্রভাব থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে মুসলিম ভোট ভাগাভাগি হবে, না কি তৃণমূল তা পাবে, এই বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনা চলছে। মুসলিম ভোট ভাগ হয়ে গেলে তৃণমূলের বিপদ যথেষ্ট। আর সেখানেই ওয়েইসির পশ্চিমবঙ্গ সফর গুরুত্বপূর্ণ।
এমআইএম-এরপশ্চিমবঙ্গে বিশেষ সংগঠন নেই। তা সত্ত্বেও ওয়েইসি এখানে প্রার্থী দেওয়ার কথা বলেছেন। কিছুদিন আগে বিহারে প্রার্থী দিয়ে যথেষ্ট সাফল্য পেয়েছেন তিনি। পাঁচটি আসন পেয়েছে এমআইএম। সেই মডেলেই পশ্চিমবঙ্গে আসন দিতে চাইছেন তিনি। অন্য দিকে ফুরফুরা শরিফের পিরজাদাও তৃণমূলবিরোধী কথা বলছেন অনেক দিন ধরে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রার্থী দেওয়ার কথা বলেছিলেন কিছু দিন আগে। ওয়েইসি কি সেই কারণেই পিরজাদার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন? ফুরফুরা শরিফের সূত্র ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, আব্বাস সিদ্দিকির সঙ্গে ওয়েইসির আসন সমঝোতার কথা হয়েছে। রাজ্যের বেশ কিছু অঞ্চলে তাঁরা একসঙ্গে প্রার্থী দিতে পারেন। সে ক্ষেত্রে মুসলিম ভোট ভাগ হওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা থাকছে।
রোববার কাউকে না জানিয়ে ওয়েইসি কলকাতা বিমানবন্দরে নেমে সোজা হুগলিতে ফুরফুরা শরিফে পৌঁছে যান। জানিয়ে এলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ তাঁকে আটকাতে পারে, এই ধারণা তাঁর ছিল বলে এমআইএম-এর মুখপাত্র জানিয়েছেন। বৈঠকের পর তিনি ফের হায়দরাবাদে ফিরে যান।
তৃণমূল নেতা সৌগত রায় জানিয়েছেন, ওয়েইসি আসলে বিজেপির সুবিধা করানোর জন্য পশ্চিমবঙ্গে এসেছেন। এমআইএম বিজেপির বি টিম। তবে এমআইএম এই মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছে।
এসজি/জিএইচ (পিটিআই)