ফুসফুসের টিউমার থেকে সেরে উঠছেন যুবরাজ সিং
২৭ নভেম্বর ২০১১যুবরাজের এই অসুস্থতার লক্ষণ ধরা পড়ে চলতি বছরের বিশ্বকাপের সময়েই৷ মাঝে মধ্যেই কাশি এবং বমি হচ্ছিল তাঁর৷ কিন্তু খেলা থেকে যাতে মনোযোগ অন্যদিকে সরে না যায়, সেই কারণে তিনি তাতে গা করেননি৷ নিজের স্বাস্থ্যের চেয়েও যুবরাজের কাছে বেশি মুল্যবান ছিল দল এবং দেশ৷ তাই অসুস্থতা লুকিয়েই খেলা চালিয়ে যান৷ আর বিশ্বকাপের নয় ম্যাচে ৩৬২ রানের পাশাপাশি দখল করেন ১৫টি উইকেট৷ টুর্নামেন্টের এই সেরা খেলোয়াড়ের কারণেই নিজ দেশের মাটিতে আবারও বিশ্বকাপ জয় করে ভারত৷
যুবরাজের মা শবনম সিং এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার পর যুবরাজের অবস্থা আরও খারাপ হতে থাকলে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসকের কাছে৷ স্ক্যান করার পর দেখা যায় অবস্থা বেশ গুরুতর৷ তার ফুসফুসে গল্ফ বলের আকারের একটি টিউমার ধরা পড়ে৷ তবে আরও পরীক্ষা নিরীক্ষা চালানোর পর দেখা যায় যে এই টিউমার ভয়াবহ কিছু নয়৷ নিয়মিত চিকিৎসা আর থেরাপি নিলেই এই টিউমার সেরে যাবে৷ যুবরাজের মা শবনম সিং জানিয়েছেন, তাঁর ছেলে ক্রমেই সেরে উঠছে৷ গত বেশ কিছুদিন ধরে যুবরাজের কঠিন সময় গিয়েছে৷ কিন্তু এখন তাঁর ছেলে মাঠে ফিরতে অস্থির হয়ে উঠেছে৷
এদিকে এই অসুস্থতার সময়ে ভক্তদের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া পেয়েছেন ২৯ বছরের ক্রিকেট তারকা৷ টুইটারে তাই ভক্তদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন যুবরাজ সিং৷ ভক্তদের উদ্দেশ্যে তাঁর টুইট,‘‘ আমি এখন খুব ভালো আছি, এখন কেবল ম্যাচ খেলার মত ফিটনেস ফিরে পেতে হবে, শিগগিরই মাঠে ফিরছি৷
যুবরাজ মাঠে ফিরলে দর্শকরাই সবচেয়ে বেশি খুশি হবেন৷ ভারতীয় দলের এই মারকুটে বাঁ হাতি ব্যাটসম্যান ওয়ানডে ক্রিকেটের অন্যতম আকর্ষন৷ তাঁর ব্যাটে ভর করে অনেক ম্যাচ জিতেছে ভারতীয় দল৷ সর্বশেষ বিশ্বকাপে ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট হয়ে দলকে সবচেয়ে বেশি সেবা দিয়েছেন তিনি৷ ২০০৭ সালে টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন ভারতীয় দলেও ছিলেন তিনি৷ সেই বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে স্টুয়ার্ট ব্রডের এক ওভারের ছয় বলে ছয়টি ছক্কা মেরে রেকর্ড বুকে নিজের নাম লিখিয়ে রেখেছেন যুবরাজ সিং৷
প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম
সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়