1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফের ইমপিচমেন্টের মুখে ট্রাম্প!

৮ জানুয়ারি ২০২১

বুধবারের ঘটনার নিন্দায় এখনো সরব গোটা বিশ্ব। তারই মধ্যে সময়ের আগেই ট্রাম্পকে ক্ষমতা থেকে সরানোর একাধিক প্রস্তাব।

https://p.dw.com/p/3nfCc
ক্যাপিটল ভবনে বিক্ষোভকারীরা
ছবি: Lev Radin/Pacific Press/picture alliance

ক্যাপিটল ভবনে ট্রাম্প সমর্থকরা তাণ্ডব চালানোর পরে ফের ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রস্তাব আনার ভাবনা চিন্তা শুরু করেছেন ডেমোক্র্যাট সাংসদরা। অন্যদিকে, ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেনসকেও একটি চিঠি দিয়েছেন ডেমোক্র্যাটরা। সেখানে ২০ জানুয়ারির আগেই ডনাল্ড ট্রাম্পকে অফিস থেকে সরিয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে। যদিও বাস্তবে তা হবে বলে মনে করছেন না বিশেষজ্ঞরা।

বুধবারের ঘটনার পর গোটাবিশ্ব জুড়েই নিন্দার ঝড় উঠেছে। গোটা ওয়াশিংটন জুড়ে কারফিউ ঘোষণা করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ক্যাপিটল ভবনে হামলার ঘটনায় এক নারী পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন। বাকি তিনজনেরই হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের শরীরে বুলেটের ক্ষত ছিল না। তবে এখনো হাসপাতালে বেশ কিছু ব্যক্তি ভর্তি।

ওয়াশিংটনের মেয়র ১৪ দিনের জন্য কারফিউ বা জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন। সন্ধে ছয়টা থেকে সকাল ছয়টা পর্যন্ত কারফিউ বলবৎ থাকবে। রাস্তায় গোটা দিন ধরেই পুলিশি টহল চলছে। এক হাজার ন্যাশনাল সিকিওরিটি গার্ডকেও ওয়াশিংটনে পাঠানো হয়েছে। তারা রাস্তায় ফ্ল্যাগ মার্চ করছে।

তাণ্ডবের ঘটনায় এখনো পর্যন্ত ৫২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার মধ্যে চার জনের বিরুদ্ধে অস্ত্র রাখার অভিযোগ আনা হয়েছে। এখনো পর্যন্ত ছয়টি অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। মলটোভ ককটেল ভরা বোমা, পাইপ বোমা উদ্ধার হয়েছে।

ঘটনার পরেই পরবর্তী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মুখ খুলেছিলেন। বুধবার রাতে তিনি একটি লম্বা বক্তৃতা করেছেন। সেখানে গোটা ঘটনার জন্য ট্রাম্পের দিকেই আঙুল তুলেছেন তিনি।

ট্রাম্পও টুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে যাওয়ার আগে সমর্থকদের কাছে বাড়ি ফিরে যাওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন। যদিও ভোটে কারচুপির বিষয়টি তিনি সেখানেও উল্লেখ করেছেন। শুধু তাই নয়, সমর্থকদের প্রতি নরম মনোভাবও দেখিয়েছেন। পরে অবশ্য ট্রাম্প একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেছেন। সেখানে তিনি বলেছেন, বুধবারের ঘটনা অনভিপ্রেত। ক্ষমতা হস্তান্তর যাতে স্বাভাবিক ভাবে হয়, সে দিকে তিনি খেয়াল রাখবেন। বস্তুত, এই প্রথম ক্ষমতা হস্তান্তর নিয়ে মুখ খুললেন ট্রাম্প। বুধবারেও তাঁর বক্তৃতায় ভোট কারচুপি, ক্ষমতা থেকে সরতে না চাওয়ার কথা বলা হয়েছিল। তারপরেই তাঁর সমর্থকরা ক্যাপিটল ভবনে আক্রমণ চালায়।

এ দিকে, বুধবারের ঘটনার পরে ফের যৌথ কংগ্রেসের অধিবেশন শুরু হয়। সেখানে ইলেকটোরাল ভোট গণনার পরে বাইডেনকে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্বীকার করা হয়। ওই অধিবেশনের পরেই দ্বিতীয়বার ট্রাম্পকে অভিশংসন করা নিয়ে সরব হন দুই ডেমোক্র্যাট সাংসদ। অ্যালেকসান্দ্রা ওকাসিও কর্টেজ এবং ইলহাম ওমর ২০ জানুয়ারির আগেই ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব আনার কথা বলেছেন।

অন্য দিকে একাধিক ডেমোক্র্যাট এবং কয়েকজন রিপাবলিকান সাংসদ ট্রাম্পকে ২০ জানুয়ারির আগেই ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করেছেন ভাইস প্রেসিডেন্টের কাছে। একটি চিঠি লিখেছেন তাঁরা। যেখানে বলা হয়েছে, ডনাল্ড ট্রাম্পের মানসিক সমস্যা আছে। সে কারণেই তাঁকে দ্রুত ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়া উচিত। ভাইস প্রেসিডেন্ট চাইলে এ কাজ করতে পারেন। তবে বাস্তবে তা হবে বলে মনে করছেন না বিশেষজ্ঞরা। যদিও ভাইস প্রেসিডেন্ট পেনস গোটা ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেছেন। ট্রাম্পের নাম না বললেও, তিনি যে ট্রাম্পের বক্তব্যের সঙ্গে এক মত নন, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি)