ফেলানী হত্যার বিষয়টি এখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে
২০ জানুয়ারি ২০১১বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে ‘ফেলানী হত্যার ঘটনায় ভারতের অনুতাপ'-এর কথা বলা হয়েছে৷ পরে ‘অনুতাপ ও সমবেদনা'৷ কিন্তু প্রথম আলো, কি কালের কণ্ঠে কিন্তু ‘দুঃখপ্রকাশের' কথাই বলা হয়েছে৷ বস্তুত সাংবাদিকরা ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব শম্ভু সিং'কে সরাসরি প্রশ্ন করেন, ভারত দুঃখপ্রকাশ করেছে কি না৷ দু'টি পত্রিকার বিবরণেই রয়েছে যে, সিং তাঁর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গোপাল কে পিল্লাই'এর ঢাকায় উপস্থিতির কথা উল্লেখ করে উত্তর দিতে তাঁর অপারগতা ব্যক্ত করেছেন৷ অতঃপর শুরু হয় দুই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক, ঢাকার শেরাটন হোটেলে৷ তারই কোনো ফাঁকে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুস সোবহান সিকদার নাকি সাংবাদিকদের বলেন, ফেলানী হত্যার জন্য ভারত দুঃখ প্রকাশ করে গুলি না চালানোর আশ্বাস দিয়েছে৷ এটা হল কালের কণ্ঠ'র খবর৷ ভারতীয় পক্ষ নাকি সংশ্লিষ্ট বিএসএফ সদস্যের বিরুদ্ধে নেওয়া ব্যবস্থার কথাও আজ বৃহস্পতিবার জানাতে পারে৷
ওদিকে এসইসি তো নানা ধরণের পদক্ষেপ নিয়েও সামাল দিতে পারছে না পুঁজি বাজার৷ অসুবিধেটা কোথায়, সেটা দৃষ্টিকোণের উপর নির্ভর করে৷ বিক্ষুব্ধ বিনিয়োগকারীদের মতে পুঁজি বাজারে একটি পরিকল্পিত চক্রের সঙ্গে ডিএসই'র যোগসাজশ রয়েছে - এটা রয়েছে ইত্তেফাকের বিবরণে৷ এমনকি ইত্তেফাকের একটি পৃথক প্রতিবেদনের শীর্ষকই হল: ‘শেয়ার বাজারের ফায়দা লুটছে একটি চক্র'৷ শেয়ার বাজারের সাম্প্রতিক অস্থিরতা ও ধসের জন্য অনেকে যে বাংলাদেশ ব্যাংককেও দায়ী করছে, তা'ও রয়েছে সেই প্রতিবেদনে৷ বাজারের এমন ভয়াবহ পরিস্থিতিতেও যে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ‘অনেকটাই নির্বিকার ছিলেন', সে অভিযোগও উল্লেখ করা হয়েছে সমকালের বিবরণে৷ অর্থমন্ত্রীর বাসভবনে বাংলাদেশ ব্যাংক ও এসইসি'র সঙ্গে বৈঠকে নাকি বাংলাদেশ ব্যাংক বাজার পতনের জন্য এসইসি'কেই দায়ী করে, এই হল প্রথম আলোর খবর৷ অপরদিকে ডিএসই'র ব্রিফিং'এ কিন্তু প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সতিপতি মৈত্র বলেছেন যে, যাদের হাতে ভালো কোম্পানির শেয়ার আছে, তাদের আতঙ্কে বিক্রি করা ঠিক হবে না৷ এটা জানাচ্ছে জনকণ্ঠ৷
নড়াইলে হরতাল শুধু নড়াইল এক্সপ্রেস বাদ পড়ল বলে৷ দেশ জুড়েই আলোড়ন৷ যে কোনো পত্রপত্রিকা খুললেই দেখা যাবে, বিশ্বকাপের দল ঘোষণার চেয়ে আসলে মাশরাফির বাদ পড়াটাই আসল খবর৷ নিজের নাম দেখতে না পেয়ে মাশরাফির কেঁদে ফেলার খবর ইত্তেফাক সহ নানা পত্রিকায়৷ চোখ মুছতে মুছতে তিনি নাকি পরের বিশ্বকাপের টার্গেটের কথা বলেছেন৷ মাশরাফি বাদ পড়া নিয়ে সমালোচনার ঝড়ের মধ্যে প্রধান নির্বাচক রফিকুল কিছুটা ক্রিকেটের যুক্তি দেখানোর চেষ্টা করেছেন৷ বলেছেন, বিশ্বকাপ শুরু হবে ফেব্রুয়ারি'তে, বেশির ভাগে খেলা হবে বাংলাদেশে৷ কাজেই তিনজনের বেশি পেসারের দরকার নেই৷ এটা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের খবর৷ ‘এমনিতে সব ম্যাচে দুই জন পেসার খেলাই৷ একজন থাকবেন বাড়তি হিসেবে,' বলেছেন রফিকুল আলম, রয়েছে ইত্তেফাকের বিবরণে৷
গ্রন্থনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী
সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দোপাধ্যায়