ফোনালাপে সংকট বাড়বে ?
২৮ অক্টোবর ২০১৩টেলিফোনের সময় দুনেত্রীর পাশে দুই দলের যেসব নেতা ছিলেন তাঁদের বরাত দিয়ে সংবাদ মাধ্যমে কথোপকথনের কিছু অংশ প্রকাশ করা হয়েছে৷ তবে সেগুলোর মধ্যে মিল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে মনে করেন আলী রিয়াজ৷ তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ‘ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটি'-র রাজনীতি ও সরকার বিভাগের অধ্যাপক৷ এছাড়া ওয়াশিংটনের ‘উড্রো উইলসন ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর স্কলারস'-এরও একজন পাবলিক পলিসি স্কলার৷ বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে প্রথম আলো পত্রিকায় তিনি নিয়মিত কলাম লিখে থাকেন৷
আলী রিয়াজ তাঁর ফেসবুক পেজে টেলিফোন আলাপ নিয়ে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘...অনুমান করতে পারি এই ফোনালাপের বিষয় নিয়ে একটা বিতর্কের সূচনা হবে৷ তাতে কেউ আশু লাভবান হবেন বলে মনে করতে পারেন বটে, কিন্তু সংকটে নতুন মাত্রাই যুক্ত হবে বলে আমার আশংকা৷''
যে কারণে আলী রিয়াজের এমন আশংকা সেটা তিনি পরিষ্কার করেছেন স্ট্যাটাসের শুরুতে৷ একেক গণমাধ্যমে একেক রকমরে কথোপকথন ছাপা হওয়ার প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, ‘‘...এই ধরণের আলোচনার গোপনীয়তা রক্ষার একটা দিক রয়েছে, কেননা আস্থার সংকট থেকে এই ধরণের আলোচনার প্রয়োজন দেখা দিয়েছে৷ এখন এইসব বিষয়ে ‘দায়িত্বশীল' ব্যক্তিরা যদি সেই গোপনীয়তা রক্ষা না করেন তবে আসল উদ্দেশ্য অর্জনের সম্ভাবনাই শুধু কম তাই নয়, সেই লক্ষ্য অর্জনে বিঘ্ন সৃষ্টির আশংকাই বেশি৷''
এদিকে সামহয়্যার ইন ব্লগে তানভীর আরিফ তাঁর পোস্টে প্রথম আলোতে প্রকাশিত ফোনালাপের অংশবিশেষের পুরোটাই তুলে দিয়েছেন৷ এরপর পোস্টের শিরোনাম দিয়েছেন এভাবে, ‘‘সংলাপের রূপ দেখুন৷ এমন খোঁচানো ফোনালাপ যাতে ইচ্ছা থাকলেও এই আলোচনা সফল না হয় সেভাবেই ফোন করা হয়েছে৷''
তবে এসবের পরও সারা দেশের মানুষ নৈশভোজের অপেক্ষায় বলে লিখেছেন জানা৷ সামহয়্যার ইন ব্লগে ‘নৈশভোজের সৌন্দর্য্য উপভোগের প্রতিক্ষায় আমরা ১৬ কোটি' শীর্ষক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘‘ভাগ্যবান জাতি আমরা! অবশেষে সর্বসাধারণের দীর্ঘ সময়ের মুখিয়ে থাকা চাওয়া এবং উপচে পড়া তীব্র উৎকণ্ঠার অবসান ঘটলো বুঝি৷ আমাদের অতীত-বর্তমান-ভবিষ্যতের প্রাণপ্রিয় অভিভাবকদ্বয় পরষ্পরের সাথে দুটো আলাপ করলেন! হোক সে যন্ত্রের যোগাযোগ, হোক সে লাল কিংবা কালো যন্ত্রে; অপেক্ষা-প্রতিক্ষার কঠিন দেয়াল ভেঙে দিয়ে অন্তত অপেক্ষাকৃত নরম একটি ‘আশা'র ‘যোগ' যুগিয়েছেন আমাদের জান-মালের ইতিহাসে৷....আমরা ১৬ কোটি ভাগ্যবানেরা এখন মৃদু আনন্দে দুলছি বৈকি ‘আশা'র দোলনায়৷ নাটকের শেষ দৃশ্যটির যেন শুভ পরিণাম ঘটে৷''
সংকলন: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ