ফ্রান্সে চরমপন্থীদের বিরুদ্ধে পুলিশি অপারেশন
২০ অক্টোবর ২০২০মহানবী হযরত মোহাম্মদের (সাঃ) কার্টুন দেখিয়ে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ব্যাখ্যা করার দায়ে প্যারিসে হত্যা করা হয়েছে স্কুল শিক্ষক স্যামুয়েল প্যাটিকে। তারপর থেকেই দেশজুড়ে চরমপন্থী মুসলিমদের বিরুদ্ধে অপারেশন ও তদন্ত শুরু করেছে ফরাসিপুলিশ। বেশ কয়েকটি সংগঠনের কার্যকলাপও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মন্ত্রী এই কথা জানিয়ে বলেছেন, ওই শিক্ষককে নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ঘৃণার বার্তা দেয়ার অন্তত ৮০টি ঘটনা পুলিশ খতিয়ে দেখছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর দাবি, ঘটনার পর থেকে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এখন পুলিশি অপারেশন চলছে। আরো গ্রেপ্তার হতে পারে। অন্তত এক ডজন ব্যক্তি ও সংস্থার বিরুদ্ধে অপারেশন চালানো হচ্ছে। ৫০টিরও বেশি সংগঠন নিয়ে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। ফরাসি মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে কিছু গোষ্ঠী হিংসা ছড়াচ্ছে কি না সেটাও দেখা হচ্ছে। সেরকম প্রমাণ পাওয়া গেলে এই গোষ্ঠীগুলি ভেঙে দেয়া হবে।
পুলিশ সূত্র উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা রয়টার্স জানাচ্ছে, রোববারই ফ্রান্স ২৩১ জন চরমপন্থী ভাবধারার বিদেশিকে দেশের বাইরে বের করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে এর সঙ্গে শিক্ষক হত্যা জড়িত কি না, তা জানা যায়নি। সোমবার থেকে চরমপন্থীদের বিরুদ্ধে যে অপারেশন শুরু হয়েছে, তা ওই লক্ষ্যেই কি না, সে কথাও বলা যাচ্ছে না।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বলেছেন, স্কুলে কার্টুন দেখিয়ে মত প্রকাশের স্বাধীনতা বোঝাবার পরেই প্যাটিকে অনলাইনে হুমকি দেয়া শুরু হয়। ফতোয়াও জারি করা হয়। ওই স্কুলের এক ছাত্রীর বাবা ফতোয়া জারি করেছিলেন বলে অভিযোগ।
সংবাদসংস্থা এএফপি সূত্রকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, একাধিক ব্যক্তি শিক্ষককে মারার সঙ্গে জড়িত ছিল। তার মধ্যে একজন অভিযুক্ত হত্যাকারীর সঙ্গে গিয়ে অস্ত্র কিনেছিল। একজন হত্যাকারীকে গাড়িতে করে নিয়ে গিয়েছিল। তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে ১৮ বছর বয়সী অভিযুক্ত হত্যাকারীর নাম পুলিশ রেকর্ডে নেই। তার মানে সে আগে কোনো অপরাধের জন্য পুলিশের নজরে আসেনি।
জিএইচ/এসজি(এএফপি, রয়টার্স)