1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফ্রিজ করা হয়েছে নাভালনির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট

২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০

রাশিয়ায় পুটিন বিরোধী রাজনীতিবিদ নাভালনির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছে। তাঁর বাড়িও কার্যত সিল করা হয়েছে।

https://p.dw.com/p/3iyX2
ছবি: Navalny/Instagram/dpa/picture-alliance

রাশিয়ার পুটিন-বিরোধী রাজনীতিবিদ নাভালনিকে বিষ দেওয়ার পরের দিনই তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার এমনটাই জানিয়েছেন নাভালনির মুখপাত্র। তাঁর বক্তব্য, নাভালনিকে ধনে এবং প্রাণে মারার ছক কষা হয়েছিল। তবে শারীরিক ভাবে পুটিন-বিরোধী এই রাজনীতিকের অবস্থা এখন অনেকটাই স্থিতিশীল। নাভালনির মুখপাত্রের দাবি কয়েক সপ্তাহ পরে দেশে ফেরার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন তিনি।

প্রাথমিক ভাবে তিনি একজন ব্লগার। সেই সূত্রেই রাশিয়ার রাজনীতিতে তাঁর প্রবেশ। পুটিনের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে সোচ্চার ছিলেন নাভালনি। একাধিকবার রাজনৈতিক ভাবে পুটিনের দলের সঙ্গে তাঁর বিরোধ প্রকাশ্যে এসেছে। শুধু তাই নয়, রাশিয়ার রাজনীতিতে নাভালনির দল এখন সামনের সারিতে। এই পরিস্থিতিতেই নাভালনিকে রাশিয়ার প্রশাসন বিষ দিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছিল বলে অভিযোগ। জার্মানি সহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের বেশ কিছু দেশ এ বিষয়ে সরাসরি পুটিনের কাছেই জবাবদিহি চেয়েছিল। রাশিয়া অবশ্য বিষ দেওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে।

ঘটনা হলো, সপ্তাহখানেক আগে ডোমেস্টিক ফ্লাইটে যাত্রা করার সময় প্রথম অসুস্থ হয়ে পড়েন নাভালনি। দ্রুত তাঁকে জার্মানির একটি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানে তিনি কোমায় চলে যান। তাঁর জলের বোতল পরীক্ষা করে দেখা যায়, সেখানেই বিষ ছিল। বিষয়টি নিয়ে উত্তাল হয়ে ওঠে ইউরোপের রাজনীতি। স্বয়ং জার্মান চ্যান্সেলর এ বিষয়ে মন্তব্য করেন এবং রাশিয়ার প্রশাসনের কাছে জবাব চান।

নাভালনি এখন অনেকটাই সুস্থ। কয়েক সপ্তাহ পরে  তিনি ফের রাশিয়ায় যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। এই পরিস্থিতিতে নতুন তথ্য সামনে আনলেন তাঁর মুখপাত্র। জানালেন, নাভালনি যে দিন অসুস্থ হয়ে পড়েন, সেই দিনই তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দেওয়া হয়। তাঁর বাড়ি গিয়ে অ্যারেস্ট নোটিসও ঝুলিয়ে দিয়ে আসা হয়েছে। যার অর্থ, ওই বাড়িতে থাকা যাবে না, বিক্রি করা যাবে না এবং মর্টগেজ রাখা যাবে না। কয়েক বছরের পুরনো একটি মামলার নিরিখে এ কাজ করেছে রাশিয়ার প্রশাসন। বস্তুত, সেই মামলায় পুটিন-ঘনিষ্ঠ এক খাবার চেনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন নাভালনি। অভিযোগ করেছিলেন, ওই খাবার সংস্থাটি রাশিয়ার বিভিন্ন স্কুলে খাবার দেয়। যে খাবার খেয়ে শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। এত দিন পরে কেন সেই মামলায় এই ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হলো নাভালনির বিরুদ্ধে? তাঁর উপর বিষ প্রয়োগ এবং পুরনো মামলায় নতুন পদক্ষেপ একই সঙ্গে কেন হলো, তা নিয়েও বিস্তর প্রশ্ন উঠছে।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স)