1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফ্লোরিডায় এগিয়ে মিট রমনি

২৮ জানুয়ারি ২০১২

আর একদিন পর মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী নির্বাচনের চতুর্থ পর্ব৷ এখন পর্যন্ত জরিপে এগিয়ে আছেন ম্যাসাচুসেটস রাজ্যের সাবেক গভর্নর মিট রমনি৷

https://p.dw.com/p/13sQV
মিট রমনিছবি: REUTERS

প্রাইমারিগুলো শুরুর আগে মিট রমনিকেই নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বারাক ওবামার প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করছিলেন অনেকেই৷ তবে এখন পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হওয়া তিনটি প্রাইমারির মধ্যে তিনি জিতেছেন মাত্র একটিতে৷ আর বাকি দুটোতে জিতেছেন অন্য দুজন৷ তবে দুটোতেই রমনি ছিলেন দ্বিতীয় স্থানে৷

প্রাইমারির আগে প্রার্থীদের মধ্যে যে টেলিভিশন বিতর্ক হয় সেগুলো এবার নির্বাচনে জয়লাভের ক্ষেত্রে বেশ ভূমিকা রাখছে৷ যেমন গত প্রাইমারি, যেটা সাউথ ক্যারোলাইনায় হয়ে গেল, তার আগে যে বিতর্ক হয়েছিল তাতে ভাল করেছিলেন সাবেক হাউজ স্পিকার নিউট গিঙরিচ৷ ফলে নির্বাচনে দেখা গেল জরিপে এগিয়ে থাকা রমনি বিশাল ব্যবধানে হেরে গেছেন৷

এবারও ফ্লোরিডায় প্রার্থীদের মাঝে বিতর্ক হয়ে গেল বৃহস্পতিবার৷ বিশ্লেষকদের মতে, এবার আর ভাল করতে পারেন নি গিঙরিচ৷ বিতর্কে এগিয়ে রয়েছেন রমনি৷

ফলে ফ্লোরিডায় রমনি জিততে যাচ্ছেন এমন একটা ধারণা বদ্ধমূল হয়েছে৷

তবে নির্বাচন তো নির্বাচনই৷ তাই প্রার্থীরা এখনো সাধ্যমত চেষ্টা করে যাচ্ছেন ভোটারদের মন ভরাতে৷ ফ্লোরিডার ভোটারদের একটা বড় অংশ স্প্যানিশ ভাষাভাষী হিসপ্যানিক৷ তাই তাদের আকর্ষণের চেষ্টা করছেন প্রার্থীরা৷ এছাড়া ফ্লোরিডায় অভিবাসীর সংখ্যাও বেশ৷ ফলে নির্বাচনে এটাও একটা ফ্যাক্টর হতে পারে৷ ইতিমধ্যে সে লক্ষণ দেখাও গেছে৷ যেমন গিঙরিচ রমনিকে অভিবাসী বিরোধী বলার চেষ্টা করেছেন৷ রমনিও তেমনি অভিযোগ আনছেন গিঙরিচের বিরুদ্ধে৷

নিউট গিঙরিচ
নিউট গিঙরিচছবি: AP

এছাড়া বেকারত্ব একটা বড় সমস্যা ফ্লোরিডায়৷ পুরো যুক্তরাষ্ট্রে যেখানে বেকারত্বের হার সাড়ে আট, সেখানে ফ্লোরিডায় সেটা প্রায় ১০৷ ফলে চাকরির সুযোগ তৈরির অঙ্গীকার করছেন প্রার্থীরা৷ এক্ষেত্রে মাল্টিমিলিওনেয়ার রমনি তাঁর ব্যবসায়িক সাফল্যকে ভোটারদের সামনে উপস্থাপনের চেষ্টা করছেন৷ 

কিউবা ও ভেনেজুয়েলার নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে কঠোর বক্তব্য দিয়েও হিসপ্যানিকদের মন জয়ের চেষ্টা করা হচ্ছে৷ ফিদেল ও রাউল কাস্ট্রো এবং উগো চাবেসকে রমনি ও গিঙরিচ দুজনই ‘শত্রু' হিসেবে উল্লেখ করেছেন৷ এক অনুষ্ঠানে রমনি বলেন, তিনি প্রেসিডেন্ট হলে লাতিন অ্যামেরিকায় গণতন্ত্রের অবস্থা যাচাইয়ের জন্য সেখানে একজন বিশেষ দূত পাঠানো হবে৷ পরে ঐ দূতের তৈরি প্রতিবেদনের উপর ভিত্তি করে চাবেস ও কাস্ট্রোর বিরুদ্ধে মনোভাব কীরকম হবে সেটা ঠিক করা হবে৷

তবে গিঙরিচ ও রমনি নিজেরা যেভাবে একে অপরের সমালোচনা করছেন তাতে করে তাদের কেউই ওবামাকে হারাতে পারবেন না বলে মনে করছেন অনেক রিপাবলিকান৷ কেননা ব্যক্তিগতভাবে অ্যামেরিকানদের কাছে তাদের দুজনের কারোরই জনপ্রিয়তা বলার মতো নয়৷ ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকার জরিপে দেখা গেছে মাত্র ৩০ শতাংশ অ্যামেরিকান তাদের পছন্দ করে৷

তাই নতুন করে কাউকে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নিয়ে আসা যায় কিনা সেটা নিয়ে কথা বলছেন কেউ কেউ৷ এ ব্যাপারে ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যারি সাবাতো বলছেন, এখনো সে সুযোগ আছে৷ কেউ চাইলে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামতে পারে৷ তবে অবশ্যই তাঁকে বেশ জনপ্রিয় হতে হবে৷ এবং তাঁর অনেক টাকা পয়সা থাকতে হবে৷ আর অবশিষ্ট প্রাইমারিগুলোতে বেশ ভাল করতে হবে৷

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, নতুন কোনো রিপাবলিকান সেই সুযোগটা নেন কিনা৷

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য