ফ্লয়েডের মৃত্যু ও বিক্ষোভে বিশ্বের প্রতিক্রিয়া
যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের নির্যাতনে জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর ঘটনায় প্রতিবাদ চলছে৷ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিশ্ব নেতৃবৃন্দও৷
পোপ ফ্রান্সিস
তিনি বলেন, ‘‘আমরা বর্ণবাদ কিংবা অন্য কোনো কারণে কাউকে বাদ দেয়ার বিষয়ে চোখ বন্ধ করে থাকতে পারি না৷ আমাদের মনে রাখতে হবে, সহিংসতা দিয়ে কিছু অর্জন করা যায় না৷’’
বরিস জনসন
ফ্লয়েডের মৃত্যুর ঘটনার সমালোচনা করে চলমান বিক্ষোভের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী৷ তবে বিক্ষোভ দমনে ট্রাম্পের শক্তি প্রয়োগের ইচ্ছার সমালোচনা থেকে বিরত থেকেছেন তিনি৷
চীন
যুক্তরাষ্ট্রের বর্ণবাদকে ‘মার্কিন সমাজের একটি দুরারোগ্য ব্যাধি’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র৷ যুক্তরাষ্ট্রে সহিংস বিক্ষোভের খবর বেশ ভালোভাবে কাভার করছে চীনের সরকারি প্রচারমাধ্যম৷
ইইউ
ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রধান হোসেপ বোরেল বলেন, পুলিশি নির্যাতনে জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুতে ইউরোপ ‘হতভম্ব’ হয়ে গেছে৷ বিক্ষোভ দমাতে ‘অত্যধিক শক্তি প্রয়োগ’ না করতেও ট্রাম্প প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান তিনি৷
জার্মানি
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইকো মাস যুক্তরাষ্ট্রে চলা বিক্ষোভ সমর্থনযোগ্য বলে মন্তব্য করেছেন৷ এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে পরিবর্তন আসবে বলেও আশা করছেন তিনি৷
ইরান
নিজের নাগরিকদের উপর ‘সহিংস’ না হতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়৷ এক সংবাদ সম্মেলনে মুখপাত্র আব্বাস মুসাভি মার্কিন জনগণের উদ্দেশে বলেন, ‘‘রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের বিরুদ্ধে আপনাদের প্রতিবাদ বিশ্ব দেখছে৷ বিশ্ববাসী আপনাদের পাশে আছে৷’’ এছাড়া মার্কিন কর্মকর্তা ও পুলিশদের প্রতি জনগণকে নিঃশ্বাস নিতে দেয়ারও আহ্বান জানান তিনি৷
ঘানা
প্রেসিডেন্ট নানা আকুফো-আদ্দু ফ্লয়েড হত্যার ঘটনায় কৃষ্ণাঙ্গ মানুষসহ সারা বিশ্বের মানুষ ‘অবাক ও হতবিহ্বল’ হয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন৷
ফিলিপাইন্স
প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে চলমান বিক্ষোভ শেষ হওয়ার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না৷ এই ঘটনায় হতাশা প্রকাশ করে দুতার্তে বলেন, অ্যামেরিকার বিক্ষোভের মতো কিছু ফিলিপাইন্সে ঘটছে না বলে নিজেকে তিনি সৌভাগ্যবান মনে করেন৷ তাহলে করোনা ভাইরাস মোকাবিলার কাজটি কঠিন হয়ে যেতো বলে মনে করেন তিনি৷
বারাক ওবামা
ফ্লয়েডের মৃত্যুর পর দেয়া প্রথম ভিডিও বার্তায় সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা জানান, তিনি তাঁর জীবনে এমন বিক্ষোভ দেখেননি৷ সমাজের সমস্যাগুলো সমাধানের এমন সুযোগ কাজে লাগাতে তিনি মার্কিনিদের প্রতি আহ্বান জানান৷
মার্ক রুটে
নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে বিক্ষোভ দমনে কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ব্যবহারের দৃশ্য তাঁকে ‘মর্মাহত’ করেছে৷ তিনি বলেন, ‘‘ফ্লয়েডকে যেভাবে হত্যা করা হয়েছে তা অগ্রহণযোগ্য৷ তবে যুক্তরাষ্ট্র শুধু একমাত্র দেশ নয় যেখানে অনেক মানুষকে সমাজে পুরোপুরি গণনা করা হয় না৷’’ নেদারল্যান্ডসেও বর্ণবাদ ও বৈষম্য আছে বলে মন্তব্য করেন তিনি৷