বঙ্গবন্ধু উপগ্রহ: কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
মহাকাশে বাংলাদেশের একটি নিজস্ব কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠানোর কথা প্রথম শুরু হয় ১৯৯৯ সালে৷ অনেক ধাপ পেরিয়ে ২০১৮ সালের ১২ মে ভোর ০২:১৪ তে কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে উৎক্ষেপণ করা হয় এটি৷ ছবিগুলো সব ফাইল থেকে নেয়া৷
প্রথম স্যাটেলাইট
সার্কভুক্ত ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলংকা আগেই নিজেদের স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছে৷ বাংলাদেশও সে তালিকায় নাম তুলতে চাইছে৷ ২০১৮ সালের ১২ মে বাংলাদেশ মান সময় ভোর ০২:১৪ তে কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে উৎক্ষেপণ করা হয় এটি৷
প্রকল্প অনুমোদন
এতে ব্যয় হয়েছে ২,৯৬৮ কোটি টাকা৷
নতুন সময়সীমা
প্রথম পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০১৫ সালের জুনে স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপিত হওয়ার কথা ছিল৷ পরে সেটা এক দফায় বাড়িয়ে ২০১৬ সালের জুন করা হয়৷
নকশা তৈরি হচ্ছে
যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি ‘স্পেস পার্টনারশিপ ইন্টারন্যাশনাল’ এ প্রকল্পের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসাবে উপগ্রহের নকশা তৈরির কাজ শুরু করে৷
বৈদেশিক মুদ্রা বাঁচবে
সরকার বলছে, দেশের বেসরকারি টিভি চ্যানেলগুলো এই স্যাটেলাইট ব্যবহার করতে পারবে৷ এছাড়া এর মাধ্যমে টেলিযোগাযোগ সেবাও দেয়া সম্ভব হবে৷ এতে বছরে ১১০ কোটি টাকার বিদেশি মুদ্রা সাশ্রয় হবে৷
চল্লিশটি ট্রান্সপন্ডার
বঙ্গবন্ধু কৃত্রিম উপগ্রহে ট্রান্সপন্ডার মোট ৪০টি থাকবে৷ এর মধ্যে বাংলাদেশ ১২টি ব্যবহার করবে৷ বাকিগুলো ভাড়া দেয়া হবে৷ এ থেকে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের স্বপ্ন দেখছে সরকার৷
দুটি গ্রাউন্ড স্টেশন
উপগ্রহটি নিয়ন্ত্রণ ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য গাজীপুরের জয়দেবপুর ও রাঙ্গামাটির বেতবুনিয়ায় দুটি ‘গ্রাউন্ড স্টেশন’ নির্মাণ করে হবে৷
নতুন কোম্পানি গঠন
স্যাটেলাইটটি একবার উৎক্ষেপণ হয়ে যাওয়ার পর সেটি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আলাদা একটি কোম্পানি চালু করবে সরকার৷