অবরোধ বন্ধের উদ্যোগ নেই
১৬ জানুয়ারি ২০১৫বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা নিয়ে উদ্বেগ ক্রমশ বাড়ছে৷ ফেসবুক এবং বাংলা ব্লগে এই বিষয়ে সরব অনেকে৷ আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া ফেসবুকে লিখেছেন, ‘‘বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিচ্ছিন্নভাবে ব্যাখ্যা করা যাবেনা৷ আমাদের সংবিধানে ক্ষমতার বিন্যাস কীভাবে বলা আছে, রাষ্ট্রের পরিচালনা নীতি কীভাবে বলা আছে সে সব আমলে আনা জরুরি৷ সংবিধানে গোলমেলে ব্যবস্থা থাকলে কোনোদিনই এই সংঘাতময় রাজনীতির বিলোপ ঘটবে না৷''
তিনি লিখেছেন, ‘‘একদিকে বলবেন জনগণ রাষ্ট্রের সর্বময় ক্ষমতার মালিক, অথচ নাগরিকের ক্ষমতা প্রয়োগের কোনো ব্যবস্থা সংবিধান করবে না, তখন সংবিধানের অন্য সব প্রতিশ্রুতি কেবল ফাঁকি৷ ধোঁকা৷ কথা একটাই – বদলাতে হবে এসব অন্যায় নীতি৷ সংবিধান কেমন চাই, সেটি জনগণই ঠিক করুক৷ ক্ষমতার বিন্যাস কী ভাবে হবে, সেটি জনগণই ঠিক করুক৷ তাদের উপর দায় চাপিয়ে একদল শকুনের, মানুষের মৃত্যুর উপর স্বর্গবাস বন্ধ হোক৷''
সাংবাদিক খালেদ সাইফুল্লাহ টানা অবরোধের সমালোচনা করে লিখেছেন, ‘‘বিএনপির অবরোধ কি সরকারের বিরুদ্ধে না সাধারণ জনগণের বিরুদ্ধে? যদি সরকারের বিরুদ্ধে হয় মন্ত্রী, এমপি, সরকারি দলের নেতাদের গাড়ি না পুড়িয়ে সাধারণ জনগণের গাড়ি পোড়াচ্ছে কেন এবং নিরীহ চালক/অসহায় মানুষকে পুড়িয়ে মারছে কেন?''
বাংলা ব্লগেও এই বিষয়ে লিখেছেন অনেকে৷ আমার ব্লগে ব্লগার মাহবুবুল আলমের লেখার শিরোনাম, ‘‘বিএনপির ভারতবিরোধিতা এবং বর্তমান ভারত তোষণনীতি৷'' এই ব্লগার মনে করেন বিএনপি ভারত বিরোধিতা থেকে সরে আসার চেষ্টা করছে নিজেদের স্বার্থে৷ তবে এর ফলে লাভবান হবে আওয়ামী লীগ৷ কেননা ‘ভারতের দালাল' বলে আওয়ামী লীগের যে সমালোচনা দলটি করত ভবিষ্যতে সেটা আর সম্ভব হবে না৷
এছাড়া সামহয়্যার ইন ব্লগে রাফা লিখেছেন, ‘‘তারেক জিয়ার ভুল রাজনীতির শিকার খালেদা জিয়ার বিএনপি৷'' তিনি মনে করেন, ‘‘বাংলাদেশের মানুষকেই ভাবতে হবে তারা কোন বাংলাদেশ চায়৷ এবং তার জন্য সোচ্চার হতে হবে তাদের নিজেদের স্বার্থেই৷ এখন আর চুপ করে থাকার কোন অবকাশ নেই৷''