1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বন শহরে শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক জলবায়ু সম্মেলন

২৯ মার্চ ২০০৯

বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে জার্মানির বন শহরে রোববার থেকে শুরু হয়েছে ১০ দিন ব্যাপী একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন৷ এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে জলবায়ু পরিবর্তনের আলোচনায় তারা আন্তরিকভাবে অংশ নেবে৷

https://p.dw.com/p/HMIz
বন সম্মেলনে ইউএনএফসিসিসি এর নির্বাহি সচিব ভো দে ব্যোয়েছবি: picture-alliance/ dpa

আগামী ডিসেম্বরে কোপেনহেগেন-এ শুরু হতে যাচ্ছে জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক পরিকাঠামোগত সম্মেলন বা ইউএনএফসিসিসি৷ কিন্তু সেখান থেকে আদৌ কোন ফল আসবে কিনা - তা বোঝা যাবে তার আগের তিনটি প্রস্তুতিমূলক সম্মেলনের মাধ্যমে৷ আর তারই প্রথম আয়োজন শুরু হয়েছে বন শহরে৷ ১০দিন ব্যাপী এই সম্মেলনে, ১৮০টি দেশের প্রায় দুই হাজার প্রতিনিধি অংশ নিচ্ছেন৷

কিয়োটো প্রটোকল অনুযায়ী বিভিন্ন দেশকে আগামী ২০১২ সালের মধ্যে কার্বন নির্গমন একটি নির্দিষ্ট মাত্রার মধ্যে নামিয়ে আনতে হবে৷ কিন্তু এরপর কি হবে তা এখনও নির্ধারিত হয়নি৷ কোপেনহেগেন অনুষ্ঠেয় সম্মেলনে সে বিষয়টির যাতে ফয়সালা হয়, তারই তোড়জোড় চলছে প্রস্তুতিমূলক বৈঠকে৷ কিন্তু এর জন্য সবচেয়ে বেশী প্রয়োজন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন৷

Todd Stern in Bonn
সম্মেলনে মার্কিন প্রতিনিধি দলের প্রধান টড স্টার্নছবি: picture-alliance/ dpa

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডাব্লিউ বুশ কিয়োটো প্রটোকলে স্বাক্ষর করেননি৷ তবে বর্তমান প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা পরিবেশ রক্ষা আন্দোলনের সক্রিয় সহযোগিতা করার ব্যাপারে বেশ ইতিবাচক ইঙ্গিত দিয়েছেন৷ বন সম্মেলনেও আগতদের সকলের নজর তাই মার্কিন প্রতিনিধিরা কি বলেন সেটার দিক৷ মার্কিন প্রতিনিধি দলের প্রধান টড স্টার্ন ইতিমধ্যেই সকলকে আশ্বস্ত করে বলেছেন, যে জাতিসংঘের আয়োজনে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক আলোচনায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আন্তরিকভাবেই অংশ নেবে৷ সম্মেলন শুরুর আগে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো ইঙ্গিত দিয়েছেন, যে যুক্তরাষ্ট্র পরিবেশ রক্ষার জন্য তার ক্ষমতা ব্যবহার করবে৷ এছাড়া, জলবায়ু পরিবর্তন রোধের জন্য সকলকে এগিয়ে আসতে হবে বলেও জানিয়েছেন মার্কিন প্রতিনিধি দলের প্রধান স্টার্ন৷ এর আগে ইউএনএফসিসিসি-এর নির্বাহি সচিব ভো দে ব্যোয়ে আশা প্রকাশ করে বলেন, যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কোন পথে এগুবে সে বিষয়টি টড স্টার্ন এখানে ঠিক করে যাবেন৷

উল্লেখ্য, ইউরোপ সহ অনেক শিল্পোন্নত দেশ কার্বন নির্গমন কমাতে রাজি হলেও চীন, ভারত, ব্রাজিলের মত উন্নয়নশীল দেশগুলো এ ব্যাপারে সবসময় গড়িমসি করছে৷ তাই উন্নত দেশগুলোর পাশাপাশি এসব দেশগুলোকেও একটি ঐকমত্যে নিয়ে আসার বিষয়টি সবচেয়ে বড় চ্যলেঞ্জ হয়ে দাড়িয়েছে পরিবেশ রক্ষার ক্ষেত্রে৷

প্রতিবেদক: রিয়াজুল ইসলাম, সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য