1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘বরফ গলছে, কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে এর কোন সম্পর্ক নেই’

১১ নভেম্বর ২০০৯

বিশ্ব উষ্ণায়ণের ফলে হিমালয়ের বরফ গলছে বিজ্ঞানীদের এমন মন্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছে ভারত সরকার৷ ভারতের মতে এবিষয়ে ‘‘সিদ্ধন্তে আসা যায় এমন কোন বৈজ্ঞানিক তথ্য’’ নেই৷

https://p.dw.com/p/KU55
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারী ক্লিন্টনের সঙ্গে ভারতের পরিবেশ মন্ত্রী জয়রাম রমেশ (ফাইল ফটো)ছবি: AP

এই মন্তব্যের কারণে ভারতসহ বিশ্বের অনেক পরিবেশ বিজ্ঞানীরই কঠোর সমালোচনার মুখে পড়েছেন ভারতের পরিবেশমন্ত্রী৷

ভারতের পরিবেশ মন্ত্রী জয়রাম রমেশ বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে হিমালয়ের বরফ গলে যাচ্ছে, ইন্টারগভার্মেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ এই তথ্যকে অসম্পূর্ণ হিসাবে আখ্যা দিয়েছে৷ তিনি বিজয় কুমার রায়না নামে একজন বিজ্ঞানীর গবেষণার উপর ভিত্তি করে বলেন, হিমালয়ের বরফ গলে যাচ্ছে খুব দ্রুত আইপিসিসির এই মন্তব্য ঠিক নয়৷ এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যাল গোর যিনি একজন পরিবেশ কর্মীও তাঁর কথাও সত্য নয়৷ রমেশ হিন্দুস্থান টাইমসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, বরফ গলছে, কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে এর কোন সম্পর্ক নেই৷

এদিকে তাঁর এই মন্তব্যে সমালোচনার ঝড় তুলেছে পরিবেশ বিজ্ঞানীরা৷ দ্যা এনার্জি এ্যান্ড রিসোর্স ইন্সটিটিউটের ভূতত্ত্ববিদ শ্রেস্থ টায়াল বলছেন, জয়রাম রমেশ যে গবেষণার আলোকে এই মন্তব্য করেছেন তা অসম্পূর্ণ৷ এটি সাধারণ ধারণার উপর নির্ভর করে তৈরি করা হয়েছে৷ কারণ পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়বে আর বরফ গলবেনা এমনটা কখনোই সম্ভব নয়৷

আইপিসিসির সভাপতি রাজেন্দ্র পাচুড়িও পরিবেশ মন্ত্রীর সমালোচনা করে বলেন রাইনার রিপোর্টটির কোন ‘ শক্ত ভিত্তি নেই'৷ আর রমেশ যে মন্তব্য করেছেন তা ঔদ্ধত্যপূর্ণ'৷ তিনি ব্রিট্রেনের গার্ডিয়ান পত্রিকায় দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ভূ-উপগ্রহের মাধ্যমে তোলা ছবি থেকে এটাই প্রমাণিত হয় যে, বরফ গলছে এবং তা খুবই দ্রুত হারে৷

উল্লেখ্য বিজয় কুমার রাইনা তার গবেষণা সম্পর্কে হিন্দুস্থান টাইমসকে বলেন, হিমালয়ের বরফ উদ্বেগজনক হারে গলছে না৷ আর সেখানে জলবায়ু পরিবর্তনের কোন প্রভাবও দেখা যাচ্ছে না৷ রাইনা আইপিসিসিকে আরো বিস্তারিত গবেষণা করতে বলেন৷

এদিকে আইপিসিসি বলছে হিমালয়ের সব বরফ গলে গেলে একদিন গঙ্গা প্রবাহ শুকিয়ে যাবে৷ যার ফলে ক্ষতির সম্মুখীন হবে, একশ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ৷ আইপিসিসির এই তথ্যকে সমর্থন জানিয়েছে কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যায়ের সহকারী অধ্যাপক শাকিল রামসো৷ তিনি বলছেন বিশ্ব উষ্ণায়ণের কারণে বরফ গলছে এতে কোন দ্বিমত নেই৷ প্রমাণ হিসাবে তিনি তাঁর গবেষণায় উল্লেখ করেন যে, কাশ্মীরের সবচেয়ে উঁচু হিমবাহ কোলাহাই গত তিন দশকে ২.৬৩ বর্গ কিলোমিটার কমে এসেছে যার কারণ শুধু মাত্র উষ্ণায়ণ৷

ভারতের প্রধানমন্ত্রীর মুখপাত্র সিয়াম সারান ইন্ডিয়ান ওয়াল্ড ইকোনমিক ফোরামকে স্পষ্টতই বলে দিয়েছেন, ভারত সরকার কোন অসমাপ্ত বৈজ্ঞানিক গবেষণার উপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নিতে পারে না৷

প্রতিবেদক: ঝুমুর বারী

সম্পাদনা: আবদুস সাত্তার