1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বর্তমানে সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন হয় মাত্র ২০ মেগাওয়াট

২০ অক্টোবর ২০১০

২০২০ সাল নাগাদ বাংলাদেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ২১ হাজার মেগাওয়াট লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে ২০২০ সাল নাগাদ সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে হবে ২১০০ মেগাওয়াট৷ কিন্তু বর্তমানে উৎপাদন হয় মাত্র ২০ মেগাওয়াট৷

https://p.dw.com/p/PjLd
ছবি: picture-alliance/dpa

আশা করা হচ্ছে, বিদ্যুৎ উৎপাদনের ১০ শতাংশ আসবে নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে৷ নবায়নযোগ্য জ্বালানির ৮১ শতাংশই আসে সৌর বিদ্যুৎ থেকে৷ এরমধ্যে দেশে উৎপাদিত সৌর প্যানেল থেকে পাওয়া যায় ৫ মেগাওয়াট আর আমদানি করা সৌর প্যানেল থেকে পাওয়া যায় ১৫ মেগাওয়াট৷ এই ২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ০.৬ ভাগ৷ তাই রূপকল্প ২০২০ এর লক্ষ্য অর্জনের বাস্তবতা এখনো তৈরি হয়নি৷ সোলার এনার্জি এসোসিয়েশনের প্রধান দিপাল সি বড়ুয়া বলেন, আগামী ৬ থেকে ৮ মাসের মধ্যে আরো ৩০ মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব৷ তবে সেক্ষেত্রে এই সময়ের মধ্যে ৫০ হাজার সোলার প্যানেল বসাতে হবে৷

কিন্তু এতটা আশাবাদী নন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্বিদ্যালয়ের এনার্জি ষ্টাডিজ বিভাগের প্রধান ড. আশরাফুল ইসলাম৷ তিনি বলেন, মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ১০ ভাগ সৌর বিদ্যুৎ থেকে পাওয়া সম্ভব নয়৷ হয়তো ৫ ভাগ পাওয়া যেতে পারে৷

উদ্যোক্তারা জানান, সৌর বিদ্যুৎ প্যানেল আমদানি করমুক্ত হলেও উপকরণ আমদানি করমুক্ত নয়৷ ইলেকট্রো সোলারের কর্ণধার আনসারউদ্দিন উপকরণ আমদানির ওপর শুল্ক প্রত্যাহারের আবেদন জানান৷

দেশীয় উৎপাদকদের কাছ থেকে সৌর বিদ্যুৎ কিনতে লাগে প্রতি মেগাওয়াট ১৫০ টাকা ৷ আর আমদানিকারকরা নানা প্রকল্পের মাধ্যমে প্রতি মেগাওয়াট বিক্রি করেন ২০০ টাকায়৷

দিপাল সি বড়ুয়া জানান, জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী উন্নত বিশ্ব থেকে ভর্তুকি মূল্যে সৌর প্যানেল এবং উপকরণ আমদানির ব্যবস্থা করতে হবে৷ তাহলে কেরাসিন মূল্যে সৌরবিদ্যুৎ দেয়া সম্ভব৷

প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক