‘বলার জন্য লকডাউন দিচ্ছে সরকার’
৯ এপ্রিল ২০২১
ইউটিউবে ডয়চে ভেলে বাংলা‘র ‘খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়' অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের বর্তমান পরিস্থিতি ও লকডাউন বিষয়ে আলোচনায় এমন মন্তব্য করেন তিনি৷ অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)-এর ভাইস চ্যান্সেলর মো. শারফুদ্দিন আহমেদ৷
করোনা ভাইরাস সংক্রমণের হার গত জানুয়ারি মাস থেকেই বাড়ছে৷ তবে জানুয়ারি মাস থেকে শুরু করে কয়েকমাস টানা লকডাউন চালিয়ে যাওয়া সম্ভব কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে আলী রীয়াজ বলেন, সরকার জানুয়ারি মাসে লকডাউন দিতে না পারলে মার্চ মাসে পারে কী করে? বিশেষজ্ঞরা যদি বলে যে, জানুয়ারি মাসে এটি সম্ভব ছিল না, তাহলে এপ্রিল মাসে এটি কী করে সম্ভব হয়- এমন প্রশ্ন করে তিনি বলেন, ‘‘তাহলে আমাকে বলতে হবে, আপনি জানুয়ারি মাসেও জানতেন এটি সম্ভব না, এপ্রিল মাসেও জানেন যে, এটি সম্ভব না৷ বলার জন্য বলছেন৷ তো বলার জন্য বলছেন, যদি সাধারণ লোকজনের কাছে এ মেসেজটা যায়, তাহলে সে কেন...?’’
এ সময় তিনি সরকারের পরিকল্পনায় ঘাটতি আছে বলেও মন্তব্য করেন৷
এদিকে এক সপ্তাহের লকডাউনে সরকার কী অর্জন করতে চায়- এমন প্রশ্নের জবাবে শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘‘মানুষের মধ্যে ভয় চলে গেছে, যে কারণে তারা আর করোনাকে গুরুত্ব দিচ্ছে না, যে কারণে সরকার কঠোর লকাডাউনের চিন্তা করছে৷’’ তবে সাত দিন বা ১৪ দিন পরও যদি দেখা যায় সংক্রমণ কমছে না, সেক্ষেত্রে লকডাউন বাড়ানোর পরামর্শ তার৷
অনেকের কাছে জীবনের চেয়ে জীবিকা বড় হয়ে উঠেছে- এমন মন্তব্য করে তিনি আরো বলেন, যে সরকার নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য ব্যবস্থা নিয়েছে৷ তবে করোনা ঠেকাতে মানুষের মধ্যে সচেততা বৃদ্ধির বিষয়েই গুরুত্বারোপ করেন তিনি৷
অনুষ্ঠানে সরকারে সমালোচনা করে আলী রিয়াজ আরো বলেন, সরকার গত বছরের অভিজ্ঞতার আলোকে কোনো পরিকল্পনা গ্রহণ করেনি৷ করোনা মোকাবিলায় প্রস্তুতির ঘাটতি আছে- এমন মত প্রকাশ করে তিনি বলেন, সাধারণ মানুষকে দায়ী না করে এর জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে৷
শারফুদ্দিন আহমেদ মনে করেন, মানুষ লকডাউন না চাইলেও সংক্রমণ কমাতে হলে লকডাউন দিতে হবে৷ বিভিন্ন অঞ্চলকে রেড, ইয়োলো, গ্রিন ইত্যাদি জোনে ভাগ করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের কথা বলেন তিনি৷
তার মতে, করোনা ঠেকাতে এ মহূর্তে 'কম্পলিট লকডাউন' দেয়া উচিত৷
আরআর/এসিবি