1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বসন্তদূত চেরিফুলের উৎসবের টাকা যাবে জাপানেই

১৮ মার্চ ২০১১

বসন্তের উৎসবের অর্থ চলে যাবে জাপানে৷ ওয়াশিংটনে প্রতি বছর জাপানের চেরি ফুলকে স্বাগত জানাতে সেই উৎসব হয়৷ এবার জাপানের মানুষকে বাঁচাতে সেই উৎসবের অর্থ পাঠানো হবে৷

https://p.dw.com/p/10blq
বসন্তদূত চেরিফুলছবি: AP

যে বছর হালকা গোলাপি রঙের চেরি ফুল চারদিক আলো করে ফুটে ওঠে, সেই বসন্ত হয় বড় সুন্দর৷ বড় কবোষ্ণ৷ আর কে না জানে, চেরি ফুলেরা কোথা থেকে এসেছে৷ তারা আসলে জাপানেরই তো ফুল! তো, এ বছর এই গ্রহের পশ্চিম গোলার্ধে বসন্ত ভালো করে তার ডালপালা মেলার আগেই উত্তর জাপানে ফুঁসে উঠেছে সুনামির সমুদ্র৷ ধেয়ে এসেছে ভূমিকম্প৷ মৃত্যু, ধ্বংস, পারমাণবিক দুর্যোগ৷ একের পর এক দুঃসংবাদ৷

তাই জাপানের এই দুর্দিনে জাপানেরই চেরি ফুলের উৎসবের যত অর্থ তার প্রায় সবটাই পাঠানো হবে জাপানের সাধারণ মানুষের কল্যাণে৷ ওয়াশিংটনে প্রতি বছর পটোম্যাক নদীর তীরের ছোট্ট একটা বন্দরে এই চেরি ফুলের জনপ্রিয় উৎসব হয়ে আসছে অর্ধ শতকেরও বেশি সময় ধরে৷ সে উৎসবে থাকে নাচ, গান, শোভাযাত্রা, রূপমাধুরী৷ মানে রঙিন বসন্তের যত পশরা৷ আর থাকে নিবিড় চেরি ফুলের অপরূপ গোলাপি রঙের উজ্জ্বল সমাহার৷ দুই সপ্তাহ ধরে চলে এই উৎসব৷ যোগ দেন সমাজের সবস্তরের মানুষ৷ যাঁরা বসন্তকে ভালোবাসেন৷

‘এ বছর আমরা এই উৎসব তাই বলে বাতিল করছি না৷ তবে তার খরচ অনেকটা কমিয়ে ফেলছি৷ সেই টাকা তো বটেই, সেই সঙ্গে টিকিট বিক্রির টাকার একটা অংশও আমরা পাঠাবো জাপানের দুর্গত মানুষের জন্য৷' সাংবাদিকদের খবরটা জানিয়েছেন, চেরি ফুলের উৎসব বা চেরি ব্লসম ফেস্টিভ্যালের তরফে জাপান অ্যামেরিকান ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটি সংস্থার প্রধান জন ম্যালট৷ আসলে এই জাপান অ্যামেরিকান সোসাইটিই প্রতি বছর এই উৎসবের আয়োজন করে থাকে৷ ম্যালট জানিয়েছেন, সবাই জাপানের জন্য কিছু না কিছু করতে চাইছে৷ আমাদের উদ্যোগটা একটু বেশি৷ কারণ আমরা নিজেদের দায়বদ্ধতা বেশি করে অনুভব করছি জাপানের এই দুঃসময়ে৷

সেই দায়বদ্ধতা আসলে গোটা বিশ্বই অনুভব করছে, তাতে কোন সন্দেহ নেই৷ তবু জাপানের বিশ্বনন্দিত চেরিফুলকে ঘিরে এই যে রঙিন উদ্যোগ, জাপানের জন্য সেটাও একটুখানি আশার কথা বৈকি!

প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম