বাংলাদেশ, ভারত সীমানার মানচিত্রে স্বাক্ষর
২০ আগস্ট ২০১১ঢাকায় বাংলাদেশের পক্ষে দিল্লীতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার তারেক এ করিম এবং ভারতের পক্ষে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাই কমিশনার রাজিত মিত্তার মানচিত্রে সই করেন৷
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সীমান্ত নিয়ে বিরোধ উপমহাদেশের বিভাজনের পর থেকেই৷ দুই দেশের সীমান্তের জরিপ কিভাবে হবে, জরিপকৃত ম্যাপ কিভাবে প্রস্তুত হবে এই সমদস্য ছিল দীর্ঘ দিনের৷ এই সমস্যা সমাধানে ১৯৫৫ সাল থেকে মানচিত্রের কাজ শুরু হলেও শেষ হয় চলতি বছরে৷ আজ ঢাকায় এই সীমানা মানচিত্রের ওপর সই করেন তারেক এ করিম এবং রাজিত মিত্তার৷
মানচিত্র সই করার পর দিল্লীতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার তারেক এ করিম বলেন দুই দেশই দুই দেশের মধ্যে একটি চূড়ান্ত সীমান্তরেখা পাচ্ছে৷ এখন আর সীমান্তে কোন জায়গা কার তা নিয়ে বিতর্ক থাকবে না৷
দুই দেশের ৪ হাজার ১৫৬ কি.মি. সীমান্তের জন্য তৈরি করা হয়েছে ১ হাজার ১২৯টি ম্যাপ৷ প্রতিটি মানচিত্রের ৮টি করে কপি তৈরি করা হয়েছে৷ পর্যায়ক্রমে সব মানচিত্রে প্রথমে ঢাকায় পরে দিল্লিতে সই করা হবে৷ উপমহাদেশের বিভাজনের ৬৪ বছর পর এইসব মানচিত্রে সইয়ের মধ্য দিয়ে সীমান্ত জটিলতা দূর হচ্ছে বলে জানান অনুষ্ঠানে উপস্থিত বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপুমনি৷
আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন বলেন এর ফলে দুই দেশের সীমান্তে শান্তি বিরাজ করবে এবং সম্পর্কের আরো উন্নয়ন ঘটবে৷
তবে অপদখলীয় জমি হস্তান্তর এবং সাড়ে ৬ কি.মি. সীমানার ২২টি স্থানের মানচিত্র তৈরি এখনো বাকি আছে৷ এবিষয়ে আগামি মাসের প্রথম সপ্তাহে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং-এর ঢাকা সফরের সময় দুই দেশ একটি চুক্তিতে সই করবে বলে জানা গেছে৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী