বাংলাদেশে অতিরিক্ত চাপ নেয়ার মতো পরিবহণ কাঠামোর অভাব
২৩ আগস্ট ২০১১এই চাপের ফলে দুর্ঘটনা আর জনদুর্ভোগ অবধারিত বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা৷ তারা মনে করেন, এই পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে রেল ও নৌ যোগাযোগের দিকে জোর দিতে হবে৷
ঢাকার গাবতলি বাস টার্মিনালে গেলেই দেখা যাবে অগ্রিম টিকেটের জন্য লম্বা লাইন৷ তারা সবাই যে টিকেট পাবেন তার নিশ্চয়তা নেই৷ আবার টিকেট পেলেও পথে পথে ভোগান্তির শিকার হবেন, আছে জীবনের ঝুঁকি৷ তবুও ঈদে রাজধানী ঢাকা ছেড়ে ঈদে গ্রামের বাড়ি যেতেই হবে৷ এযেন এক ধরাবাঁধা নিয়ম৷
পরিবহণ কর্মচারীরা জানান, কয়েকদিনের জন্য যাত্রী কয়েকগুণ বেড়ে যায়, কিন্তু গাড়িতো আর বাড়ান সম্ভব নয়৷ তাই তারা বাসের ট্রিপ বাড়িয়ে দেন৷ এতে গাড়ি, চালক আর রাস্তার ওপর চাপ পড়ে৷
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্সেস বিভাগের অধ্যাপক ড. এ কে এম নূর-উন-নবী ডয়চে ভেলেকে জানান, তারা জরিপ করে দেখেছন ঈদের কয়েক দিনে বাড়তি ৭ কোটি মানুষ পরিবহণের ওপর চাপ সৃষ্টি করে৷
পরিহণ বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যায়ের অধ্যাপক ড. শাসসুল হক ডয়চে ভেলেকে জানান, এসময়ে বাসের সংখ্যা বাড়িয়েও কোন লাভ হয়না কারন রাস্তাতো আর বাড়েনা৷ তাই জনদুর্ভোগ বাড়ে, বাড়ে দুর্ঘটনা৷ তিনি বলেন, রেল ও নৌ যোগাযোগকে সবচেয়ে নিরাপদ ভাবা হয়৷ কিন্তু বাংলাদেশে সড়ক পথে যাত্রী চলাচল করে সবচেয়ে বেশি, ৭৫ ভাগ৷ আর রেল ও নৌপথে যথাক্রমে ১২ ও ১৩ ভাগ৷ সমস্যা সমাধানে তিনি তাই রেল ও নৌপথকে গুরুত্ব দেয়ার কথা বলেন৷
আর অধ্যাপক ড. এ কে এম নূর-উন-নবী মনে করেন, প্রতি ৩ বছরের পরিবর্তে প্রতিবছর বিনোদন ছুটির নিয়ম করলে ঈদে দল বেঁধে গ্রামের বাড়ি যাওয়ার প্রবণতা কমবে৷
ড. এ কে এম নূর-উন-নবী ও ড. শাসসুল হক - দু'জনই বলেন, বিষয়টি নিয়ে সবাইকে বিকল্প চিন্তা করতে হবে৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক