1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাংলাদেশে একদিনেই আক্রান্ত ১১২

৯ এপ্রিল ২০২০

একদিনে বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত নতুন রোগীর সংখ্যা বাড়লো দ্বিগুণ৷ নতুন মৃত্যু একজন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী৷

https://p.dw.com/p/3agkw
ছবি: picture-alliance/dpa/S. Hoppe

দুপুরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে করোনা পরিস্থিতির সবশেষ তথ্য তুলে ধরেন৷ গত ২৪ ঘন্টায় কোভিড ১৯ এ আক্রান্ত ১১২ জন শনাক্তের পাশাপাশি মারা গেছেন একজন৷ সবমিলিয়ে বাংলাদেশে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ৩৩০ জনে, প্রাণ হারিয়েছেন ২১ জন৷

ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, টেস্ট বা করোনা ভাইরাস পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ায় আক্রান্তের হার কেমন এখন তা বোঝা যাচ্ছে৷ ২৪ ঘণ্টায় ১০৯৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি৷ ভেন্টিলেশন বা কৃত্রিম শ্বাস প্রশ্বাসযন্ত্রের সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে বলেও উল্লেখ করে তিনি৷ জানান, দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ৫৫০ টির বেশি এমন যন্ত্র রয়েছে, নতুন করে ৩৮০ টি কেনার প্রক্রিয়া চলছে৷

রোগীদের জন্য আইসোলেশন সেন্টারের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে বলেও জানান মন্ত্রী৷ ঢাকায় বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারে ২০০০ শয্যার ব্যবস্থা করা হচ্ছে৷ এর কাজ ১০/১২ দিনের মধ্যে শেষ হবে৷ পাশাপাশি ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের একটি নবনির্মিত মার্কেটেও ১৪০০ শয্যা এবং উত্তরার দিয়াবাড়িতে চরটি বহুতল ভবনে ১২০০ শয্যার আইসোলেশন ইউনিটের ব্যবস্থা করা হচ্ছে৷   

মন্ত্রী বলেন, ‘‘বিভিন্ন মাধ্যমে যেসব সম্মাননীয় ব্যক্তিবর্গরা কথা বলেন, তারা যদি আমাদের পরামর্শ বেশি দেন এবং নেতিবাচক কথা কম বলেন তা বেশি ভালো হবে এবং জনমনে দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকবে না৷’’

খোলা রয়েছে বেসরকারি হাসপাতাল

দেশের বেসরকারি হাসপাতাল তাদের সব ধরনের চিকিৎসা অব্যাহত রেখেছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান৷ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনলাইন ব্রিফিংয়ে যুক্ত হয়ে তিনি এই তথ্য দেন৷ 

বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিক্যাল কলেজ অ্যাসোসিয়েশনের এই মহাসচিব বলেন, তাদের অধীনে ৬৯ টি হাসপাতাল রয়েছে, যেখানে ২০ হাজার ডাক্তার নিযুক্ত রয়েছেন৷ করোনা মোকাবিলায় সরকারকে সব ধরনের সহযোগিতা দিতে তারা প্রস্তুত৷ এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ হয়েছে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী৷     

এফএস/এডিকে