1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাংলাদেশ-ভারত সমুদ্র ট্রানজিট

৩ জুলাই ২০১২

বাংলাদেশের চট্টগ্রাম এবং মংলা সমুদ্র বন্দর কোস্টাল ভেসেলের মাধ্যমে ভারতকে ব্যবহার বা কোস্টাল শিপিং-এর প্রস্তাব দেয়া হয়েছে৷ ভারত চায়, বাংলাদেশের সড়ক পথ ব্যবহার করে অতিরিক্ত ৩৫ হাজার মেট্রিক টন খাদ্য সামগ্রী পরিবহন করতে৷

https://p.dw.com/p/15QWF
ছবি: dapd

বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে অনেকদিন ধরে সমুদ্র ট্রানজিটের কথা হচ্ছে৷ তা না হলেও বাংলাদেশ-ভারত সচিব নৌ-সচিব পর্যায়ের বৈঠকে বাংলাদেশ ভারতকে চট্টগ্রাম এবং মংলা সমুদ্র ব্যবহারের প্রস্তাব দিয়েছে৷ তবে বড় সমুদ্রগামী জাহাজ নয়, কোস্টাল ভেসেল বা ছোট ও মাঝারি আকারের কার্গো জাহাজের ক্ষেত্রে এই সুবিধা দিতে চায় বাংলাদেশ৷ এবং এর জন্য কোন আলাদা ফি দিতে হবেনা৷ বিনিময়ে বাংলাদেশ ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ এবং উড়িষ্যার বন্দর ব্যবহার করতে চায়৷ ভারতের নৌ-সচিব প্রদীপ কুমার সিনহা জানান, প্রস্তাবটি বিবেচনা করে যেতে পারে৷

তিনি আরো বলেন, এটি বাংলাদেশের পক্ষ থেকে একটি নতুন প্রস্তাব৷ প্রস্তাবে চট্টগ্রাম এবং মংলা বন্দরে কোস্টাল শিপিংয়ের কথা বলা হয়েছে৷ এর সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা হবে৷

Chittagong Hafen
চট্টগ্রাম বন্দরছবি: public domain

বাংলাদেশের নৌ-সচিব আব্দুল মান্নান হাওলাদার বলেন, কোস্টাল শিপিং চালু হলে সমুদ্র পথে পণ্য পরিবহনের খরচ অনেক কমবে৷ এতে উভয় দেশ লাভবান হবে৷

তিনি জানান, ভারত বাংলাদেশের আখাউড়া-আশুগঞ্জ সড়ক ব্যবহার করে ৩৫ হাজার মেট্রিক টন জরুরি খাদ্য পরিবহন করতে চায়৷ বিষয়টি বিবেচনা করে দেখবে বাংলাদেশ৷

বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের নৌ-প্রোটোকল আরো ২ বছর বাড়াতে সম্মতিপত্র সই হয়েছে৷ আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে চুক্তি সই হবে৷ ভারত তাদের ব্যবহৃত বাংলাদেশের নৌপথ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আগে বছরে সাড়ে ৫ কোটি টাকা দিত৷ এখন দেবে ১০ কোটি টাকা৷ এছাড়া আশুগঞ্জে কন্টেনার টার্মিনাল নির্মাণের জন্য ২৫০ কোটি টাকা অনুদান দেবে ভারত৷ আর প্রাথমিক সমীক্ষার জন্য দেবে ১০ কোটি টাকা৷

সচিব পর্যায়ে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে ট্রানজিটের জন্য ফি নির্ধারণ, কোস্টাল শিপিং এবং প্রোটোকল সংশোধনসহ অন্যান্য বিষয় ঠিক করতে আলাদা আলাদা কমিটি কাজ করবে৷

প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য