বিচার বহির্ভূত হত্যা বন্ধের আহ্বান
২৮ জানুয়ারি ২০১৪এইচআরডাব্লিউর এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক ব্র্যাড অ্যাডামস এক বিবৃতিতে বলেন, ‘‘বাংলাদেশে বিরোধী দলের সদস্যদের অনুমান সাপেক্ষে ‘ক্রসফায়ারে' হত্যাকাণ্ডের এক ভীতিজনক ধারা আমরা লক্ষ্য করছি৷ বাংলাদেশ সরকারের উচিত নিরাপত্তা বাহিনীগুলোকে যথাযথভাবে নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি নিশ্চিত করা এবং ক্রসফায়ারে নিহতের ঘটনায় একটি নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য তদন্তের নির্দেশ দেয়া৷'' তিনি বলেন, ‘‘সরকারের উচিত নিরাপত্তা হেফাজতে আটক সব ব্যক্তির নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রকাশ্যে নির্দেশ দেয়া৷''
এইচআরডব্লিউর বিবৃতিতে ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের আগে ও পরের কিছু ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে৷ সাক্ষাৎকার নেয়া হয়েছে ঘটনার যারা শিকার তাঁদের ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের৷ একইসঙ্গে বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার জামায়াত ও বিএনপির কয়েকজন সদস্যদের নাম ও পরিচয় তুলে ধরা হয়েছে৷
বিবৃতিতে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামালকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, বাংলাদেশে নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক সহিংসতায় ১৫০ জন নিহত হয়েছেন৷ আর সহিংসতা প্রতিরোধে যৌথ বাহিনীর সদস্যদের নামানো হয়েছে৷ যারা সহিংসতায় জড়িত তাদের সন্ত্রাসী উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তাদের দমন করা হবে৷
ব্র্যাড অ্যাডামস বলেন, ‘‘র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন, পুলিশ ও বিজিবির সমন্বয়ে গঠিত যৌথ বাহিনী বিরোধী দলের সমর্থকদের গ্রেফতার অব্যাহত রেখেছে৷ গ্রেফতার হওয়া নেতা-কর্মীদের কেউ কেউ ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে ও পরে সহিংসতায় জড়িত ছিলেন৷ আর নিারপত্তা বাহিনী বলছে, ক্রসফায়ারে নিহতের ঘটনা ঘটেছে৷''
এদিকে বাংলাদেশের মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পরিচালক নূর খান ডয়চে ভেলেকে জানান, বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বেড়ে গেছে৷ তাঁদের হিসেবে, চলতি জানুয়ারি মাসে এপর্যন্ত ১৪ জন ক্রসফায়ারে নিহত হয়েছেন, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়৷ তিনি দাবি করেন সরকারের উচিত অচিরেই একটি স্বাধীন কমিশন গঠন করে বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের ব্যবস্থা করা৷ এই কমিশন হতে হবে স্থায়ী৷ তিনি বলেন, বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে যারা জড়িত বলে প্রমাণ পাওয়া যাবে, তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে৷ আইন ও সালিশ কেন্দ্র এক বিবৃতিতে বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধের দাবি জানিয়েছে বলেও জানান তিনি৷