বিনিয়োগের সুযোগ বাংলাদেশে
৪ মে ২০১২দুই দিনের সফরের শেষ দিনে জাপানের উপ প্রধানমন্ত্রী কাতসুইয়া ওকাদা আজ সকালে বৈঠক করেন বাংলাদেশের ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে৷ গত বছর থেকে জাপানে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার পাওয়ায় ব্যবসায়ী নেতারা জাপানের উপ প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান৷ তবে ব্যবসায়ী নেতাদের দাবি সব ধরনের পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার৷ এফবিসিসিআই-এর সভাপতি একে আজাদ জানান, বাংলাদেশের সঙ্গে জাপানের বাণিজ্য ঘাটতি আছে৷ গত বছর বাংলাদেশ জাপান থেকে আমদানি করেছে ১৩০ কোটি ডলারের পণ্য৷ আর জাপানে রফতানি করেছে ৪৩ কোটি ডলারের পণ্য৷ বাংলাদেশ শুল্কমুক্ত সুবিধা পেলে এই বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনতে পারবে৷ তিনি জাপানি বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান৷ তিনি বলেন, জাপানি বিনিয়োগকারীদের এখানে বিনিয়োগের যথেষ্ট সুযোগ আছে৷
জবাবে জাপানের উপপ্রধানমন্ত্রী বলেন, জাপানি বিনিয়োগকারীরা এদেশে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী৷
তবে তার জন্য নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ এবং গ্যাসের নিশ্চয়তা দিতে হবে৷ তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকেও তিনি বিষয়টি জানিয়েছেন৷ আর বাংলাদেশের সঙ্গে জাপানের ব্যবসা-বাণিজ্যের অনেক সুযোগ আছে৷ বাংলাদেশকে তা কাজে লাগাতে হবে৷ এক সময় চীনের সঙ্গে জাপানেরও বাণিজ্য ঘাটতি ছিল৷ তবে তা এখন আর নেই৷ তাঁর মতে, বাংলাদেশ হতে পারে জাপানি ব্যবসায়ীদের নতুন গন্তব্য৷ তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, জাপানে তিনি বাংলাদেশের সেলসম্যান হিসেবে কাজ করবেন৷
বাংলাদেশ ছাড়ার আগে তিনি এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, পদ্মা সেতু প্রকল্পে জাপানের আগ্রহ আছে৷ তবে জাপানের অর্থ পেতে হলে আগে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে সমস্যার সমাধান করতে হবে৷ তিনি বলেন, তাঁর সরকারও প্রয়োজনে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলবে৷ তিনি আরও বলেন, জাপানের জনগণ চায় তাদের অর্থ স্বচ্ছতার সঙ্গে ব্যয় হোক৷ বাংলাদেশের উচিত দুর্নীতি বিরোধী কার্যক্রম অব্যাহত রাখা৷ ঢাকার মেট্রোরেলে অর্থায়নের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে বলেও জানান তিনি৷ সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশে কিছু রাজনৈতিক সমস্যা আছে৷ তবে তাঁর বিশ্বাস এটি বাংলাদেশিরা নিজেরাই সমাধান করতে পারবে৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন