বাংলাদেশের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে না যুক্তরাষ্ট্র
১ ফেব্রুয়ারি ২০২২সোমবার নিউ ইয়র্কের কুইনস এলাকায় তহবিল সংগ্রহ সংক্রান্ত একটি অনুষ্ঠানে এসে মিকস বলেন, ‘‘আমরা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নই৷ আমরা এখনও সরকারের সঙ্গে কাজ করছি৷ সে দেশের মানুষের জন্য কাজ করছি৷’’
মিকস পেশায় একজন প্রখ্যাত আইনজীবী৷ ১৯৯৮ সাল থেকে তিনি ডেমোক্র্যাটিক পার্টির একজন প্রতিনিধি৷ ২০২১ সাল থেকে মিকস পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ‘চেয়ার অফ দ্য হাউস কমিটি’-র দায়িত্বে রয়েছেন৷
তার মতে, বাংলাদেশের উপর কোনো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হচ্ছে না৷ নিষেধাজ্ঞাগুলি একটি সংস্থার কিছু ব্যক্তির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য৷ সম্পূর্ণ সংস্থার উপরে তা প্রযোজ্য নয়৷ বাংলাদেশের পরিস্থিতি বিবেচনা করা হচ্ছে বলেও জানান এই কংগ্রেসম্যান৷
আরও কয়েকজন কর্মকর্তা এবং রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এবং বাইরে থেকে কে বা কারা জোরালো লবিং করছে–এই প্রশ্নেরও জবাব দেন তিনি৷
মিকস জানান, কারও কথা শুনে কোনও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে না৷ সবদিক খুঁটিয়ে যাচাই করে দেখে সুনিশ্চিত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে৷ চলতি বছরে মানবাধিকার পরিস্থিতি এবং অন্য বিষয় দেখতে বাংলাদেশ সফরে যাবেন বলেও জানান তিনি৷
এর পাশাপাশি তিনি যোগ করেন, স্টেট ডিপার্টমেন্ট এবং এশিয়া-প্যাসিফিকের কংগ্রেস সাব-কমিটির সঙ্গে তার আগে কথা বলবেন তিনি৷ প্রয়োজন হলে বাংলাদেশ ইস্যু নিয়ে শুনানির ব্যবস্থা করবেন বলেও জানান মিকস৷
সহানুভূতিশীল, দৃঢ়চেতা হিসেবে পরিচিত মিকস নিউ ইয়র্কের পঞ্চম কংগ্রেসন্যাল ডিস্ট্রিক্টের প্রতিনিধি৷ বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অ্যামেরিকানদের বসবাস সেই এলাকায় অনেকটাই বেশি৷
উল্লেখ্য, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ১০ ডিসেম্বর র্যাব এর সাবেক-বর্তমান প্রধানসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র৷
এ ছাড়াও র্যাবের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে গত ২০ জানুয়ারি ইউরোপীয় ইউনিয়নকে চিঠি দেন ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্য ইভান স্টেফানিৎস৷
আরকেসি/কেএম (বিএসএস)