পোশাক শিল্পের পাশে জার্মানি
১৪ ডিসেম্বর ২০১৪মঙ্গলবার বাংলাদেশের প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দু সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এবং জার্মানির ‘ইকনোমিক কোঅপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট' মন্ত্রণালয়ের ‘পার্লামেন্টারিয়ান স্টেট সেক্রেটারি' এবং ‘এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের গভর্নর' হ্যান্স ইওয়াখিম ফুচটেল বাংলাদেশের টেক্সটাইল খাতের উন্নয়নে ৫০ মিলিয়ন ইউরো (প্রায় ৪৮০ কোটি টাকা) সহায়তা দেয়া সংক্রান্ত সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করেন৷
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘‘এই চুক্তির ফলে জার্মান সরকার বাংলাদেশের ১০টি টেক্সটাইল কারখানার কমপ্লায়েন্সের জন্য আর্থিক সহায়তা দেবে এবং সেগুলো থেকে তারা তৈরি পোশাক নেবে৷ এতে জার্মানির বড় বড় কোম্পানিগুলো টেক্সটাইল খাতে আগ্রহী হবে৷''
এছাড়া আগামীতে প্রতি জোড়া জিন্স কেনার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত এক ইউরো বাড়ানোর জন্য জার্মান ক্রেতাদের আহ্বান জানানোর কথাও জানান মন্ত্রী৷
ইওয়াখিম ফুচটেল বলেন, ‘‘জার্মানি বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের পক্ষে প্রচারণা চালানোর জন্য জার্মানিতে একটি ওয়েবসাইট খুলবে৷ সেখানে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতে উন্নয়ন, পোশাকের মান ইত্যাদির বিবরণ তুলে ধরবে৷''
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘অপ্রত্যাশিত রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর বাংলাদেশ সরকার, তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক, শ্রমিক ও সংশ্লিষ্ট সকলের আন্তরিক প্রচেষ্টায় তৈরি পোশাক খাতের অভূতপূর্ব উন্নতি সাধিত হয়েছে৷ জার্মানি এ অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেছে৷''
এদিকে এর দু'দিন আগে ৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশের চারটি পোশাক কারখানার সঙ্গে পার্টনারশীপ চুক্তি সই করেন হ্যান্স ইওয়াখিম ফুচটেল৷ এগুলো হলো বিডিএল গ্রুপ, নায়াগ্রা টেক্সটাইল লি., শাহাম নিট কম্পেজিট লি. এবং জেএসএম হোল্ডিংস৷ এই প্রতিষ্ঠানগুলোর বছরে আয় ৫৮০ মিলিয়ন ইউরো এবং ৩৫,০০০ শ্রমিক কাজ করেন৷ তাদের সঙ্গে জিআইজেড এবং কেএফডাব্লিউ'র আগে থেকেই সহযোগিতা চুক্তি রয়েছে৷ এই চারটি কারাখানার কাজের পরিবেশ উন্নয়নে জার্মানি ৬ মিলিয়ন ইউরো দেবে৷
জার্মান এই প্রতিনিধি দল একটি সামিটে অংশ নিতে আমন্ত্রিত হয়ে ঢাকায় এসেছিলেন৷
উল্লেখ্য জার্মানি বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী দেশ৷ গত নভেম্বরে ঢাকায় বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ২১ কোটি ১০ লাখ ইউরো সহায়তার চুক্তি করে জার্মানি, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় দুই হাজার ৫০ কোটি টাকা৷