অর্থনীতি
২৫ এপ্রিল ২০১২চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৬.৭ শতাংশ৷ আর আগামী অর্থবছরে ৭ ভাগ প্রবৃদ্ধির আশা করা হচ্ছে৷ কিন্তু ঢাকা সফররত আইএমএফ প্রতিনিধি দলের প্রধান ডেভিড কোয়েন মনে করেন, এই লক্ষ্যমাত্রা উচ্চাভিলাসী৷ তিনি আজ এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আইএমএফ মনে করে এবছর বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সাড়ে ৫ ভাগের বেশি হবে না৷
ডেভিড কোয়েন আরও বলেন, প্রবৃদ্ধির যে লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে তা উচ্চাভিলাসী৷ আর এটি এমনিতেই হয়ে যাবেনা৷ কারণ বিনিয়োগ বাড়লে তা জাতীয় আয়ে অবদান রাখবে৷ এর জন্য প্রয়োজন সঠিক অর্থ ও মুদ্রানীতি৷ বিনিয়োগ বাড়াতে হবে – আর এজন্য প্রয়োজন আর্থিক সংস্কার৷
তিনি জানান, আইএমএফ-এর প্রতিশ্রুত ১০০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণের প্রথম কিস্তি ১৪ কোটি ১০ লাখ ডলার বুধবারই ছাড় করা হয়েছে৷ কোন শর্ত নয়, তবে বাংলাদেশকে নিজের স্বার্থেই রাজস্ব খাত, মুদ্রা ও বিনিময় হার নীতি, আর্থিক খাত এবং বাণিজ্য ও বিনিয়োগ – এই ৪ খাতে সংস্কার অব্যাহত রাখতে হবে বলে মনে করে আইএমএফ৷ জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয়ও অব্যাহত রাখতে হবে৷
ডেভিড কোয়েন বলেন, সরকারকে বাজেট ঘাটতি কমাতে হবে৷ কমাতে হবে ব্যাংক থেকে ঋণ৷ বাড়াতে হবে দক্ষ ব্যবস্থাপনা৷ রাজস্ব আয় বাড়াতে হবে৷ আর কমাতে হবে ভর্তুকি৷ আর্থিক ব্যবস্থাপনায় উন্নতি ঘটাতে হবে৷ বাড়াতে হবে সামাজিক নিরাপত্তা৷
সরকার যে নতুন ব্যাংক অনুমোদন দিয়েছে তা ঠিক হয়েছে কিনা – সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের সরাসরি জবাব না দিয়ে কোয়েন বলেন, এই সব ব্যাংকের ওপর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নজরদারি বাড়াতে হবে৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন