বাংলাদেশের বাজারে কৃত্রিম ডিম
২৮ সেপ্টেম্বর ২০০৯তবে বাংলাদেশের বাণিজ্য সচিব ফিরোজ আহমদ এই আশঙ্কাকে নাকচ করে দিয়ে সাংবাদিকদের বলেছেন, কৃত্রিম ডিম চোরাইপথে বাংলাদেশে ঢোকার কোন প্রমাণ তারা এখনো পাননি৷ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তের সব পয়েন্টে বিডিআরসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীকে বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে৷
কৃত্রিম ডিমের বিষয়টি একেবারেই নতুন৷ মিয়ানমারে প্রকাশিত ইংরেজি দৈনিক 'দ্য নিউ লাইট অব মিয়ানমার' এ এবিষয়ে বলা হয়, রাসায়নিক উপাদান দিয়ে কৃত্রিম ডিম তৈরি করা হচ্ছে মিয়ানমারের কয়েকটি প্রতিবেশী দেশে৷ যা সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমারের বাজারে ঢুকে ইতিমধ্যেই দেশটির বাজার দখল করেছে৷ এতে উল্লেখ করা হয়, এ ডিম দেখতে অবিকল হাঁস-মুরগির ডিমের মতো৷
উল্লেখ্য বাংলাদেশে গেল বছর বার্ড ফ্লুসহ নানা কারণে পোল্ট্রি ব্যবসায় ব্যাপক ভাটা পড়ে৷ তাই দেশের সরকার অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে বিদেশ থেকে ২ কোটি ডিম আমদানির নির্দেশ দেয়৷ ইতিমধ্যে দেশের ব্যবসায়ীরা প্রায় ৩০ লাখ ডিম আমদানি করেছে ভারতের বাজার থেকে৷ এখন ব্যবসায়ীরা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলছেন, আসল ডিমের সঙ্গে মিশে এই কৃত্রিম ডিমও মিয়ানমার সীমান্ত দিয়ে বাজারে ঢুকতে পারে৷
কারণ এই কৃত্রিম ডিম দেখতে অবিকল মুরগি বা হাঁসের আসল ডিমের মতো৷ এই ডিম ভাজলে বোঝা যায় না যে এটি আসল কিনা! তবে সিদ্ধ করলে বোঝা যায়৷
পত্রিকাটি বলছে, এ ডিমের সাদা অংশ তৈরি করতে বেনজরিক এসিড, জেলি, অজানা রাসায়নিক গুঁড়ো এবং আকৃতি তৈরিতে বেকারিতে ব্যবহার্য রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা হয়েছে৷ কুসুম তৈরি করা হয় অজানা হলুদ গুঁড়ো ও তরল পদার্থের সংমিশ্রণে৷ পরে এ মিশ্রণের সঙ্গে ম্যাজিক ওয়াটার মেশানো হয়৷ ম্যাজিক ওয়াটারে ক্যালসিয়াম ক্লোরাইড থাকে৷ খোসার অংশটি তৈরি করা হয় মোম (এতে প্যারাফিন থাকে) এবং আরো বেশ কিছু রাসায়নিকের মিশ্রণ দিয়ে৷ এসব ডিম্বাকৃতির প্লাস্টিকের খোলসে পুরে শুকিয়ে নেওয়া হয়৷ যা দেখতে অবিকল আসল মুরগি বা হাঁসের ডিমের মতোই৷
গোয়েন্দাদের আশঙ্কা, যেহেতু প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারের বাজার এই ডিমে ছেয়ে গেছে, তাই এই ডিম কক্সবাজার ও টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে ইতিমধ্যেই বাংলাদেশে ঢুকে পড়েছে৷ যা বাংলাদেশের বাজারে ডিমের চাহিদা মেটাতে খুব সহজেই আসল ডিমের সঙ্গে ক্রেতাদের ঘরে চলে যেতে পারে৷
প্রতিবেদক: ঝুমুর বারী
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক