বাংলাদেশের যত মিষ্টির সম্ভার
ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য নিয়ে আলোচনার মধ্যে রমজান মাসের আবহে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হলো প্রথম জাতীয় মিষ্টি মেলা। ছবিঘরে দেখুন বাংলাদেশের হরেক রকমের মিষ্টির সম্ভার...
এক মিষ্টির দাম আট হাজার টাকা!
সম্প্রতি গোপালগঞ্জের রসগোল্লা জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। কিন্তু এই জেলার বালিশ মিষ্টি নিয়ে আগ্রহ আরো বেশি। কারণ, এর একটির ওজন এক কেজি থেকে ১০ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। একটি মিষ্টির দাম আট হাজার টাকাও হতে পারে।
মিষ্টি নিয়ে মধুর সমস্যা!
জিভে জল আনা মিষ্টির স্বাদ পেতে উন্মুখ থাকে সবাই। যখন একই সঙ্গে অনেক মিষ্টির সমাহার, তখন এত রকমের মিষ্টি থেকে কোনটা বেছে নিবেন- তা নিয়েই সমস্যায় পড়ে যান অনেকে।
কুষ্টিয়ার তিলের খাজা
বাংলাদেশের ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে আগেই স্বীকৃতি পেয়েছে কুষ্টিয়ার তিলের খাজা। তাই এর প্রচারণায় জিআইয়ের বিষয়টি সামনে আনা হয়। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মিষ্টি মেলাতেও এমনটাই দেখা গেছে।
আহা সন্দেশ!
দুধের ছানায় তৈরি সু্স্বাদু মিষ্টান্ন সন্দেশ। দেশের বেশিরভাগ মিষ্টান্নের দোকানে রসগোল্লা ও দই-এর পাশাপাশি সন্দেশ থাকবেই। তবে প্যাড়া সন্দেশের প্রতি মিষ্টিপ্রেমীদের আগ্রহটা একটু বেশি।
হাজারী গুড়
বাঙালি খাদ্যরসিকদের অনেকের কাছে মানিকগঞ্জের হাজারী গুড়ের খুব কদর। এই জেলার সামাজিক-সাংস্কৃতিক পরিচয় তুলে ধরার সময়েও উঠে আসে ২০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী এই গুড়টির কথা। মিষ্টি মেলায় এক চাকা হাজারী গুড়ের দামই ছিল ৫০০ টাকা! হাজারী গুড় জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাবে- এই আশা প্রকাশ করেছে মিষ্টি মেলায় আসা স্থানীয়রা।
হাড়িতে দই
মিষ্টি যেখানে দই সেখানে থাকবে না- এটা হতেই পারে না। হাড়িতে হাড়িতে দই দেখে চেখে দেখতে ইচ্ছে করেই। সরের দই কিন্তু আরো লোভনীয়। তবে স্বাস্থ্যসচেতনরা আজকাল টক দই খেয়ে থাকেন নিয়ম করে।
প্যাঁচের জিলাপি
জিলাপিতে প্যাঁচ আছে ঠিকই, তবে যে কোনো উৎসবে সেই প্যাঁচময় মিষ্টি মুখে তোলার জন্যই মুখিয়ে থাকেন অনেকে৷ ইফতারেও জিলাপি বেশ জনপ্রিয়৷
ক্ষীরের স্বাদ
ক্ষীর, ক্ষীরসা, পায়েস, পাতক্ষীর- নানান নামে নানান স্বাদের ক্ষীর তৈরি হয় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। তবে ঐতিহ্যের দিক দিয়ে সমৃদ্ধ বিক্রমপুরের সিরাজদিখানের পাতক্ষীর।
মুরুলি ও বাতাসা
সহজলভ্য মিষ্টান্নের মধ্যে এগিয়ে মুরুলি ও বাতাসা। অভিজাত দোকানে যেমন থাকে, তেমনি পথেও বিক্রি হতে দেখা যায় এসব পদ। বৈশাখী মেলার আবশ্যক পণ্য এগুলো। ঢাকার জাতীয় মিষ্টি মেলায়ও মিলেছে এ দুই পদ।
মিষ্টির বাহার
রসগোল্লা, চমচম, লাড্ডু, ছানা- নানা পদের নানা বর্ণের মিষ্টির সমাহার দেখলেও যেন অর্ধভোজন হয়ে যায়। প্রথম জাতীয় মিষ্টি মেলায় এমন অনুভূতিই হয়েছে অনেকের। এবার যারা যেতে পারেননি, তাদের আবার পরের বছরের মেলার অপেক্ষায় থাকতে হবে।