1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘দেশের রাজনীতিতে পশ্চিমা দেশগুলি এক একটি আঙ্গিকে জড়াচ্ছে’

২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩

যুক্তরাষ্ট্র বা ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, সবপক্ষের নজর বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচনের দিকে৷ কিন্তু অ্যামেরিকার বিশেষ আগ্রহ কেন, তা নিয়েই এমন মন্তব্য করলেন বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম৷

https://p.dw.com/p/4WiBh
‘ডয়চে ভেলে খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়’ টকশো-তে এবারের আলোচনার বিষয়: ইইউ-মার্কিন চাপ ও জাতীয় নির্বাচন৷ অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে রয়েছেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এবং বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম৷
‘ডয়চে ভেলে খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়’ টকশোয়ের একটি দৃশ্যছবি: DW

সাপ্তাহিক ইউটিউব টকশো ‘ডয়চে ভেলে খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়'-তে এবারের পর্বে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এবং বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম৷ এই পর্বে আলোচ্য বিষয় ছিল জাতীয় নির্বাচনে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চাপ৷

প্রশ্ন ওঠে, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু করতে কতটা ইইউ-মার্কিন চাপের মুখোমুখি দেশের রাজনীতিকরা? আলোচনা হয় বাংলাদেশের রাজনীতি বিষয়ে কতটা ও কেন আগ্রহী পশ্চিমা বিশ্বের দেশগুলি, এই প্রশ্নে৷

সঞ্চালক খালেদ মুহিউদ্দীন উল্লেখ করেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের মুখপাত্র ব্রায়ান শিলারের বক্তব্যের কথা৷ সেখানে বলা হয় যে তথ্যপ্রমাণের পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণের পরেই বাংলাদেশের কিছু রাজনীতিক, প্রশাসনের কর্মকর্তা ও কিছু বিরোধী দলীয় রাজনীতিকদের ওপরে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে৷ 

এই প্রসঙ্গে রাশেদ খান মেনন ও মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম দুজনেই একমত পোষণ করে বলেন যে এমনটা যে করা হবে, তা তারা আগে থেকেই জানতেন৷ কিন্তু মেননের মতে, এই সিদ্ধান্ত তেমন তাৎপর্যপূর্ণ নয়৷ তার মতে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বহু দিন ধরেই বাংলাদেশের ওপর চাপ সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে৷ তারা চায়, বাংলাদেশ তাদের নীতির কাছে আত্মসমর্পণ করুক৷

অনুষ্ঠানের এ অংশে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্বের দেশগুলির বাংলাদেশের রাজনীতি ও গণতন্ত্র চর্চা বিষয়ে আগ্রহের কারণ নিয়ে প্রশ্ন ওঠে৷ জবাবে ইবরাহিম বলেন, ‘‘এই নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা আমার জন্য অপ্রত্যাশিত নয়, চমকে দেওয়াও নয়৷ বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসাবে বলব যে, বাংলাদেশে বিদেশি রাষ্ট্রগুলিরা যেভাবে জড়াচ্ছে, প্রত্যেকটা দেশ এক একটা আঙ্গিকে তা করছে৷ সার্বিকভাবে এটা খুব একটা আশা জাগানো অবস্থা না হলেও, একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসাবে বলব, এত হয়তো অবস্থার উন্নতিতে সাহায্য হতে পারে৷''

মার্কিন দৃষ্টিভঙ্গীর প্রসঙ্গে তিনি বলেন যে প্রতিটি দেশেরই, বিশেষ করে বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলির নিজস্ব কিছু ভূরাজনৈতিক স্বার্থ থাকে৷ যেমনটা রয়েছে অ্যামেরিকার দক্ষিণ এশিয়াতে ও বঙ্গোপসাগরে৷ এই ভূরাজনৈতিক স্বার্থ রক্ষার্থে যেভাবে ভারত ও চীন লড়ছে, সেভাবেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চাইছে ইন্দোপ্যাসিফিক অঞ্চলে তার প্রভাব বিস্তার করতে৷ এখন অ্যামেরিকা যদি বলে যে বাংলাদেশে এমন একটি সরকার আসুক যারা আমাদের সহযোগিতা করবে, দৃষ্টিভঙ্গীর মিল থাকবে, তাতে আমি দোষ দেখি না৷ বাংলাদেশ এই মুহূর্তে সঠিক পথে নাই, এটা সবাই বুঝবে, কিছু না কিছু জায়গায় আমরা বিপথে আছি৷ যেহেতু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গণতান্ত্রিক বিশ্বকে প্রতিনিধিত্ব করে, তো তারা চাইবেই যে এখানে জনগণকে নিয়ে একটা সরকার গঠিত হোক৷''

এবারের পর্বে এছাড়াও আলোচিত হয় বিএনপিসহ বারো দলীয় জোটের রাজনৈতিক পরিকল্পনা, আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় থাকা বা না-থাকার নানা সম্ভাব্য দিক ও প্রশাসনে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের মতো আরো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়৷

এসএস/এসিবি