বাংলাদেশি সাংবাদিকদের পাশে জার্মানি
১৩ আগস্ট ২০১৪এই প্রকল্পে জার্মানি ৫০ লাখ টাকার অর্থ সহায়তা দেবে, যা সাংবাদিকদের অধিকারকে আরো সমুন্নত করার কাজে ব্যয় হবে৷ ঢাকার জার্মান দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ফন ভাইয়ে এবং আর্টিক্যাল ১৯-এর আঞ্চলিক পরিচালক তাহমিনা রহমান মঙ্গলবার ঐ চুক্তিতে সই করেন৷ এই প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের সাংবাদিকদের অধিকার আরো সমুন্নত হবে বলে চুক্তিসই অনুষ্ঠানে আশা করা হয়েছে৷
আর্টিক্যাল ১৯-এর আঞ্চলিক পরিচালক তাহমিনা রহমান ডয়চে ভেলেকে জানান, সাত মাসের এই প্রকল্পে বাংলাদেশের সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে৷ সেখানে তাঁদের অধিকারের জন্য আইনি প্রশিক্ষণ যেমন থাকবে, তেমনি তাঁরা কীভাবে ঝুঁকি এড়িয়ে কাজ করতে পারেন – সে বিষয়েও প্রশিক্ষণ দেয়া হবে৷ তাহমিনা জানান, সাংবাদিকদের বাছাই করা হবে সারাদেশ থেকে৷ ঢাকার সাংবাদিকরা যেমন থাকবেন, তেমনি ঢাকার বাইরের সাংবাদিকরাও থাকবেন৷
তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশে সাংবাদিকরা অত্যন্ত প্রতিকূল পরিবেশে এবং ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেন৷ তাই তাঁদের তথ্য অধিকার, সংবিধান অনুযায়ী মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং এই সংক্রান্ত আইন ও বিধি বিধানের ব্যাপারে স্বচ্ছ ধারণা থাকা উচিত৷ একই সঙ্গে এ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক নীতি, আইন এবং বিধি সম্পর্কেও তাঁদের ধারণা থাকা দরকার৷ এ সব জানা থাকলে তাঁরা অনেকটাই ঝুঁকি এড়িয়ে কাজ করতে পারবেন৷ এছাড়া সাংবাদিকদের অধিকার, বিশেষ করে তথ্য সংক্রান্ত অধিকার সম্পর্কেও সম্যক ধারণা থাকতে হবে৷'' এই ধারণা তাঁকে তাঁর অধিকার সম্পর্কে সচেতন করবে বলে জানান তাহমিনা রহমান৷
তাহমিনা রহমান বলেন, ‘‘আমরা চাই সাংবাদিকরা ঝুঁকিমুক্ত পরিবেশে স্বাধীনভাবে সাংবাদিকতা করবেন৷ এই প্রকল্পের মাধ্যমে তাঁদের প্রশিক্ষণ দিয়ে সেভাবেই তাঁদের প্রস্তুত করার চেষ্টা করা হবে৷'' শীঘ্রই এই প্রকল্পের কাজ শুরু হবে বলেও জানান তিনি৷
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন ‘আর্টিক্যাল ১৯' বাংলাদেশে নারী সাংবাদিকদের জন্য এরই মধ্যে একাধিক প্রকল্প শুরু করেছে৷ সেসব প্রকল্পেও নারী সাংবাদিকদের অধিকার এবং তাঁদের নিরাপত্তা নিয়ে কাজ হচ্ছে৷
মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পরিচালক নূর খান জার্মান সরকার এবং আর্টিক্যাল ১৯-এর এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘এতে প্রকারন্তরে বাংলাদেশের গণতন্ত্রই লাভবান হবে৷ কারণ সাংবাদিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং ঝুঁকিমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত হলে তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত হবে৷ তথ্যে নাগরিকদের প্রবেশাধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে৷''