বাইডেনের জয়ের বিপক্ষে দাঁড়াবেন ১১ সেনেটর
৩ জানুয়ারি ২০২১বিবৃতিদাতা সেনেটরদের মধ্যে সবশেষ যোগ দিয়েছেন টেড ক্রুজ৷ নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ ওঠা রাজ্যগুলোর ফলাফল বাতিলের আবেদন জানাবেন তারা৷ তাদের দাবি সেসব রাজ্যের ফলাফল খতিয়ে দেখতে কংগ্রেসকে জরুরিভিত্তিতে ১০ দিনের একটি অডিট বা নিরীক্ষার উদ্যোগ নিতে হবে৷ ৬ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ইলেক্টরাল কলেজের ফলাফল গণনার কথা রয়েছে৷
বিবৃতিতে সেনেটররা বলেছেন, নিরীক্ষা শেষে প্রতিটি রাজ্য কমিশনের তদন্ত মূল্যায়ন করে দেখবে এবং তার ভিত্তিতে প্রয়োজনে ভোটের ফলাফল পরিবর্তনের বিষয়ে মত দিবে৷
তবে কোন কোন রাজ্যগুলোকে অডিটের আওতায় আনার কথা বলছেন বিবৃতিদাতারা সেটি স্পষ্ট করেননি৷
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল কি বদলে যাবে?
৩ নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর থেকেই ভোট কারচুপির অভিযোগ করে আসছেন ডনাল্ড ট্রাম্প, যদিও এ বিষয়ে কোন তথ্য প্রমাণ হাজির করতে পারেননি৷ বিভিন্ন রাজ্যের আদালতে করা মামলাগুলোও তাই টেকেনি৷ জনগণের ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেও বাইডেনকে আনুষ্ঠানিকভাবে হোয়াইট হাউসে যেতে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের ভোট পেতে হবে৷ ৬ জানুয়ারি বিভিন্ন রাজ্যের ইলেক্টরাল ভোটের ভিত্তিতে তা নিশ্চিত হবে৷ বিবৃতিদাতা সেনেটরদের আবেদনটি আমলে নিতে হলে হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস-এর কমপক্ষে ১৪০ জন রিপাবলিকানকে প্রস্তাবে সমর্থন দিতে হবে৷
কিন্তু সেনেটরদের এই পদক্ষেপকে অগণতান্ত্রিক হিসেবে উল্লেখ করেছে ডেমোক্র্যাটরা৷ একই মত কয়েকজন রিপাবলিকান নেতারও৷ বাইডেনের নির্বাচনি প্রচার দলের একজন মুখপাত্র মাইকেল গুইন তাদের দাবিকে ভিত্তিহীন উল্লেখ করে বলেছেন, এটি ২০ জানুয়ারি বাইডেনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেয়ার পথে বাধা হবে না৷ এরইমধ্যে অভিযোগগুলো পরীক্ষা করা হয়েছে এবং ট্রাম্পের নিজস্ব অ্যাটর্নি জেনারেল, আদালত আর দুই দলের নির্বাচনি কর্মকর্তারাও তা বাতিল করেছেন৷
ফোর্বসের তথ্য অনুযায়ী, এর আগে ২০০৫ সালে প্রথমবারের মতো ইলেক্টরাল ভোট নিয়ে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন তৎকালীন সেনেটর বারবারা বক্সার ও রিপাবলিকান স্টেফানি টাবস জোনস৷ তারা ওহাইও রাজ্যে জর্জ ডব্লিউ বুশের জয়ের ব্যাপারে চ্যালেঞ্জ জানান৷ কিন্তু হাউজ ও সেনেটে বিতর্কের পর দুই কক্ষের ভোটাভুটিতেই বড় ব্যবধানে সেটি বাতিল হয়ে যায়৷ ডেমোক্র্যাট সংখ্যাগরিষ্ঠ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস এবং রিপাবলিকানদের নিয়ন্ত্রণে থাকা সেনেটে বাইডেনের বিজয়কে চ্যালেঞ্জ জানানো সেনেটরদের আবেদন কতটা টিকতে পারে তা এখন দেখার বিষয়৷
এফএস/জেডএ (রয়টার্স)