বাউল দর্শন
১৩ ডিসেম্বর ২০১৪সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে লেখক ও গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, ‘‘সংঘাতময় পৃথিবীতে সাম্প্রদায়িকতা ও ধর্মীয় মৌলবাদ মোকাবিলা করে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাউল মতবাদের গুরুত্ব অনেক৷ একশ্রেণির মানুষের মধ্যে বাউলদের সম্পর্কে ভুল ধারণা রয়েছে৷ বাউলেরা কোনো ধর্মকে অসম্মান করেন না৷ তাঁরা চান সব ধর্মের মানুষ ধর্মকর্মের সঙ্গে মানবতাবাদের চর্চা করুক৷''
বাউলদের সম্পর্কে প্রায় একই মত অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত-এরও৷ তিনি বলেন, ‘‘বাউল-কবিদের কোন ধর্ম বা জাত-পাত নেই৷ তারা হিন্দু, মুসলিমসহ সকল ধর্মের কাছেই গ্রহণযোগ্য৷ বাংলার মাটি ও মানুষের মাঝে লোক কবি-চারণকবি ও বাউলদের মিশে থাকাই এ দেশের অসাম্প্রদায়িক চেতনার মূল উৎস৷ এটাই বাঙালির অহংকার৷''
বাউলদের নিয়ে প্রথম আলোর প্রকাশ করা একটি প্রতিবেদন ফেসবুক পাতায় শেয়ার করা হলেসেখানে অনেকে মন্তব্য করেন৷ কারও কারও মন্তব্যে বাউলদের প্রতি সমর্থন প্রকাশ পেলেও অনেকে নেতিবাচক কথাও বলেছেন৷ যেমন রেজাউল ইসলাম লিখেছেন, ‘‘এটা এক ধরনের ভণ্ডামি ছাড়া আর কিছু না৷ দেশের বড় একটা অংশ কর্মঠ মানুষ, কাজ-কর্ম না করে এভাবে বাউল বাউল বলে ভণ্ডামি করছে৷''
বাউল দর্শনকে সমর্থন করেন না এমন আরেকজন কৌশিক আহমেদ৷ তিনি তাঁর ফেসবুকে লেখা একটি পোস্ট টুইটারে শেয়ার করেছেন৷ ফেসবুক পোস্টে তিনি একটি ভিডিও জুড়ে দেন৷ এরপর লেখেন, ‘‘মানুষ যে কত গোমরাহ হতে পারে শয়তানের কবরও পুজা করতে পারে তার উদাহরণ এই ভিডিও৷'' এর আগে তিনি লালন শাহকে ‘সুবিধাবাদী সেকুলার' বলে আখ্যায়িত করেন৷ ‘‘সে (লালন শাহ) জীবনে যতবার গাজা টেনেছে ততবার ভাত খেয়েছে কিনা সন্দেহ৷ দেশের সকল নাস্তিক লালন বলতে অজ্ঞান৷ লালনের অনুসারীরা লালনের জন্মদিনে গাজা খাওয়ার উৎসব করে থাকে৷ লালন এমন এক পৃথিবীর স্বপ্ন দেখতো যেখানে ধর্ম বলে কিছু থাকবে না, হিন্দু-মুসলিম-খ্রিষ্টান এরকম কোনো ধর্মীয় পরিচয় মানুষের থাকবে না৷''
শাহজাহান সিরাজ টুইটারে তাঁর এক বন্ধুর ভিডিও শেয়ার করেছেন, যিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স পাস করার পর বাউল হয়ে যান বলে লিখেছেন সিরাজ৷
কৌশিক নন্দি একটি বাউল গান শেয়ার করে লিখেছেন বাংলা বাউল গান ছাড়া এমন গানের কথা আরও কোথাও খুঁজে পাননি তিনি৷
আরাফাত কীর্তি লিখেছেন, লালন শাহের সৃষ্টি আমাদের অনুপ্রাণিত করবে আজীবন৷
হাসান জাকির লালন শাহের মাজারের কিছু ছবি টুইট করেছেন৷
সংকলন: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ