1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাঘ শিকার চলছেই

২ জানুয়ারি ২০২০

চোরা শিকারিদের হাত থেকে বাঘ বাঁচানোর জন্য দেশ জুড়ে প্রকল্পের অভাব নেই৷ কিন্তু তাতে লাভ হচ্ছে কতটা? সাম্প্রতিক এক রিপোর্টে ফের সেই প্রশ্ন উঠল৷

https://p.dw.com/p/3VYnD
ছবি: Getty Images/AFP

সম্প্রতি প্রকাশিত একটি রিপোর্ট বলছে, ২০১৯ সালে গোটা দেশে ১১০টি রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের মৃত্যু হয়েছে৷ আর চিতাবাঘ মারা গিয়েছে ৪৯১টি৷ এর মধ্যে ৩৮টি রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার চোরা শিকারিদের গুলিতে মারা গিয়েছে৷ তাদের মৃতদেহ উদ্ধারের পরে দেখা গিয়েছে দেহের বিভিন্ন অংশ নেই৷ চিতাবাঘের ক্ষেত্রে তথ্য আরও ভয়াবহ৷ চোরা শিকারিদের হাতে চিতার মৃত্যু তো হয়েছেই৷ পাশাপাশি রেল এবং সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে বহু বাঘের৷ লোকালয়ে চলে আসার পর পিটিয়ে মারা হয়েছে, এমন সংখ্যাও নেহাত কম নয়৷

ওয়াইল্ড লাইফ প্রোটেকশন সোসাইটি অফ ইন্ডিয়া সম্প্রতি এই রিপোর্ট পেশ করেছে৷ এবং তাতে আশঙ্কা প্রকাশ করে বলা হয়েছে, এ ভাবে চলতে থাকলে আগামী কিছু বছরের মধ্যে বাঘ বিলুপ্ত হয়ে যাবে৷

ওয়াইল্ড লাইফ প্রোটেকশন সোসাইটির এই রিপোর্ট অবশ্য মানতে রাজি নয় ন্যাশনাল টাইগার কনজারভেশন অথোরিটি৷ সরকারি এই সংস্থাটির রিপোর্ট অনুযায়ী ২০১৯ সালে ৯২টি রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের মৃত্যু হয়েছে৷ ২০১৮ সালে যে সংখ্যাটি ছিল ১০২৷ তাদের দাবি, দেশের বিভিন্ন প্রান্তের জঙ্গলগুলি থেকে চোরা শিকারিদের অনেকটাই তাড়ানো গিয়েছে৷

বনের চিতার মানুষ শিকার

চোরা শিকারিদের সংখ্যা যে কমেছে, এটা মেনে নিচ্ছে ওয়াইল্ড লাইফ প্রোটেকশন সোসাইটিও৷ কিন্তু তাদের বক্তব্য, এখনও মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্রের জঙ্গলে যে পরিমাণ চোরা শিকারি আছে, তা যথেষ্ট চিন্তার৷ সত্য অস্বীকার করতে সরকারি সংস্থা বাঘের মৃত্যুর সংখ্যা কমিয়ে দেখানোর চেষ্টা করে৷

সরকারি হিসেব অনুযায়ী দেশে মোট বাঘের সংখ্যা এখন দুই হাজার ৯৬৭৷ গত কয়েক বছরে বাঘের সংখ্যা বেড়েছে বলেই সরকারের দাবি৷ কিন্তু বন এবং বাঘ সংরক্ষণ নিয়ে যাঁরা কাজ করেন, তাঁদের বক্তব্য, যে ভাবে জঙ্গল কেটে রাস্তা তৈরি হচ্ছে তাতে সংখ্যাটা দ্রুত কমতে খুব বেশি সময় লাগবে না৷ একই সঙ্গে তাঁদের বক্তব্য, চোরা শিকারিরাও আর আগের মতো নেই৷ শিকারের নিত্য নতুন কায়দা আবিষ্কার হচ্ছে৷ সরকার যদি তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতে না পারে, তাহলে সমূহ বিপদ৷

এসজি/কেএম (টাইমস অফ ইন্ডিয়া, পিটিআই)