সাক্ষাৎকারের সময় যদি ছেলেমেয়ে ঢুকে পড়ে?
১৩ মার্চ ২০১৭পড়ার ঘরে নিজের টেবিলে বসে সুট-টাই পরে সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন মাননীয় প্রফেসর৷ হঠাৎ তাঁর চার বছরের মেয়ে মারিওন একটি হলদে জাম্পার পরে নাচতে নাচতে ঘরে এসে ঢোকে!
কেলি স্বভাবতই তাঁর মেয়েকে স্ক্রিনে দেখতে পেয়েছেন, এমনকি হাত দিয়ে ঠেলে সরিয়ে দেবারও চেষ্টা করেন৷ প্রোগ্রামের প্রেজেন্টার জেমস মেনেন্ডেজ পরের প্রশ্ন করতে করতেই মন্তব্য করেন, ‘‘আপনার মেয়ে বোধহয় সবে ঘরে ঢুকেছে...৷''
ওদিকে দিদি মারিওন বাবার কাছে গেছে দেখে তার ছোটভাই ন'মাস বয়সের জেমস তার ‘ওয়াকার' ঠেলতে ঠেলতে ঘরে ঢুকে পড়েছে৷ ততক্ষণে বোধহয় প্রফেসর কেলির স্ত্রী ইয়ুং-আ কিমের টনক নড়েছে৷ তিনিও তাড়াহুড়ো করে ঘরে ঢুকে বিবিসির দুই অপরিকল্পিত ‘গেস্ট অ্যাপিয়ারেন্স'-কে বার করে নিয়ে আসার চেষ্টা করছেন৷ মারিওনকে আপত্তি করতে শোনা গেছে: ‘‘ও মামি!''
মিসেস কেলি তো দুই ছেলেমেয়েকে নিয়ে বিদায় হলেন – যদিও তা করতে গিয়ে টেবিল থেকে বইখাতা নীচে পড়ে গেল৷ তারপরেও দেখলেন, এই রে! দরজাটা তো বন্ধ করার দরকার! কাজেই হামাগুড়ি দিয়ে এসে দরজাটা বন্ধ করে দিয়ে গেলেন...৷
এ ভিডিও যে ভাইরাল হবে, সে তো জানাই কথা৷ শুধু দক্ষিণ কোরিয়া বিশেষজ্ঞ রবার্ট কেলির বোধহয় সেটা জানা ছিল না, তাই তিনি বিবিসি টিভি-তে এই ক্লিপ পুনঃ-সম্প্রচারিত হওয়া সম্পর্কে বলেছেন: ‘‘তার মানে? এটা কি সে ধরনের জিনিস যা ‘ভাইরাল' হয়ে পড়ে?''
শুধু কি তাই? এরই মধ্যে ডেইলি মেইল পত্রিকা যুক্তরাষ্ট্রের ক্লিভল্যান্ড, ওহাইও-র বাইরে ইউনিভার্সিটি হাইটস-এ রবার্ট কেলির মা এলেন কেলির সাক্ষাৎকার নিয়ে ফেলেছে৷ এলেন কেলি বলেছেন, রবার্ট তার বাবা-মায়ের সঙ্গে ঐ পড়ার ঘর থেকেই স্কাইপ করে থাকে৷ বিসিসির সাক্ষাৎকারের সময় ঐ ঘর থেকে গলার আওয়াজ শুনে দুই নাতি-নাতনি মনে করেছে যে, দাদা-দাদির সঙ্গে স্কাইপ করা হচ্ছে৷
জীবন যে কিভাবে অবলীলাক্রমে মিডিয়া আর রাজনীতিকে পিছনে ফেলে দিতে পারে, এটা বোধহয় তারই প্রমাণ৷
এসি/ডিজি