বার্লিন প্রাচীর না ভাঙলে ম্যার্কেল যা করতেন
আগামী ৯ নভেম্বর বার্লিন প্রাচীর ভাঙনের ৩০ বছর পূর্তি হচ্ছে৷ কিন্তু প্রাচীর যদি না ভাঙতো তাহলে সাবেক পূর্ব জার্মানিতে বেড়ে ওঠা আঙ্গেলা ম্যার্কেল কী করতে পারতেন, তা এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন তিনি৷
ম্যার্কেলের অ্যামেরিকান স্বপ্ন
জার্মানি যদি এখনও বিভাজিত থাকতো তাহলে আপনি এখন কী করতেন - জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলকে সম্প্রতি এই প্রশ্ন করেছিলেন এক সাংবাদিক৷ উত্তরে তিনি ঐ সাংবাদিককে বলেন, ‘‘নিশ্চিতভাবেই আমরা এভাবে কথা বলতাম না৷’’ এরপর ম্যার্কেল জানান, তিনি হয়তো তাঁর স্বপ্ন পূরণ করতে পারতেন৷ ‘‘আমি চেয়েছিলাম, আমার প্রথম লম্বা সফর হবে অ্যামেরিকায়,’’ জার্মান ম্যাগাজিন ডেয়ার স্পিগেলকে বলেন তিনি৷
রকি মাউন্টেন
যুক্তরাষ্ট্রের আকার, বৈচিত্র্য ও সংস্কৃতির প্রতি ভালো লাগার কথা জানিয়ে ম্যার্কেল বলেন, গাড়ি চালিয়ে ঘোরা, রকি মাউন্টেন দেখা তাঁর স্বপ্ন ছিল৷ ছবিতে ডেনভার শহরের পেছনে রকি মাউন্টেন দেখা যাচ্ছে৷
সঙ্গে স্প্রিংস্টিনের গান
যুক্তরাষ্ট্রের পথে পথে ঘোরার সময় মার্কিন রকস্টার ব্রুস স্প্রিংস্টিনের গান শোনার ইচ্ছা ছিল বলেও জানান জার্মান চ্যান্সেলর৷ ‘বর্ন ইন দ্য ইউএস’, ‘বর্ন টু রান’সহ অসংখ্য জনপ্রিয় গান গেয়েছেন স্প্রিংস্টিন৷
জার্মানিও ঘুরে দেখতেন
শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয়, পুরো জার্মানিও ঘুরে দেখতেন বলে জানিয়েছেন ম্যার্কেল৷ তিনি বলেন, সাবেক পূর্ব জার্মানিতে ৬০ বছর বয়সে মানুষ অবসরে যেত৷ এরপর তাঁদের পূর্ব জার্মানির বাইরে যাওয়ার অনুমতি মিলতো৷ এখন তাঁর বয়স ৬৫ হওয়ায় তিনি সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে পুরো জার্মানি দেখতে বের হতেন বলেও জানিয়েছেন৷
সঙ্গে মার্কিন গাড়ি?
ঘোরাঘুরির জন্য কি মার্কিন গাড়ি ব্যবহার করতেন? এই প্রশ্নের উত্তরে ম্যার্কেল বলেন, ‘‘না- আমি ছোট গাড়ির ভক্ত৷ তবে ট্রাবান্ট গাড়ির চেয়ে আর ভালো কী হতে পারতো?’’ পূর্ব জার্মানির একটি গাড়ি কোম্পানি এই গাড়ি তৈরি করতো৷ এটাকে সাবেক পূর্ব জার্মানির প্রতীক হিসেবেও দেখা হতো৷