বার্লিনে অনুষ্ঠিত হল এই প্রজন্মের মেলা ‘ইউ’
১৮ অক্টোবর ২০০৯এসবের মধ্যে ছিল, গান, খেলাধুলা, লাইফ-স্টাইল এবং ফ্যাশন৷ আরো ছিল কারিগরী প্রশিক্ষণের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন সংস্থার উপস্থিতি৷ ছিল তরুণদের নিয়ে তৈরি সংবাদপত্র সাইট ইয়ুং৷ তাদের পত্রিকায় সব সময় এই প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের খবরে ভরা থাকে৷ মিউনিখের সংস্থা সাইট ইয়ুং৷
ভ্রোনি এবং এলিয়াস এসেছে পত্রিকা সাইট ইয়ুং থেকে৷ তাদের স্টলে দু রঙা সেলো টেপ দিয়ে এ্যাব্সট্র্যাক্ট আর্টের মত করা হয়েছে৷ শুধু তাই নয়, যে কেউ সেখানে এলে নিজের পছন্দমত টেপ দিয়ে যে কোন কিছু এঁকে দিতে পারে৷ সেখানে ঝাঁকে ঝাঁকে আসছে ছেলে মেয়েরা৷ ভ্রোনি জানালো, আমরা যে পত্রিকা থেকে সেখানে আমরা এই মেলা নিয়ে লিখবো৷ আমাদের ওয়েব সাইটে ছবিসহ লেখাগুলো ছাপা হবে৷ এখানে আমরা মেলায় আগতদের সঙ্গে কথা বলছি, তাদের মতামত জানছি, জানাচ্ছি৷ আমরা হচ্ছি তাদের মুখপাত্র৷ অর্থাৎ তাদের মুখের সামনে মাইক্রোফোন আমরা তুলে ধরছি৷
তরুণ প্রজন্মের জন্য তরুণ প্রজন্মই লিখবে - এটি হচ্ছে পত্রিকাটির মূল মন্ত্র৷ ভ্রোণি এবং এলিয়াস তিন দিন ধরে প্রতিবেদন লিখে গেছে মেলার ওপর৷ তারাই সম্পাদক৷ একটি হল থেকে আরেকটি হলে তারা সারাক্ষণই ছুটোছুটি করছে৷ জানতে চাচ্ছে, শুনতে চাচ্ছে মেলায় আগতদের মতামত, ভাল লাগা না লাগা নানা বিষয়৷
আরেকটি স্টল ছিল যেখানে ভীড় করেছিল প্রধানত মেয়েরা৷ কারণ সেখানে একটি মিনি ফুটবল খেলার মাঠ তৈরি করা হয়েছিল মেয়েদের জন্য৷ বেশ মোটা প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল মাঠ৷ সেখানে ফুটবল খেলা নয় বরং নাচের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছিল মাঠটি৷ এবং সেখানেই ভীড় করেছিল ছেলে-মেয়ে নির্বিশেষে সবাই৷
সবাইকে সেই মাঠ থেকে দেয়া হচ্ছিল লাল রঙের টি-শার্ট৷ শার্টের গায়ে লেখা ড্যান্স ফর লাইফ অর্থাৎ জীবনের জন্য নাচা বা নেচে যাওয়া৷ আলেকজান্ডার হাওয়ার কাজ করছে ড্যান্স ফর লাইফের জন্য৷ সে জানাল, আমরা নাচ এবং গানের মধ্যে দিয়ে এইডস বা এইচ আই ভি বিষয়ে সবাইকে সতর্ক করার চেষ্টা করছি৷ আমরা বার বার ভেবেছি কি ভাবে সবাইকে একসঙ্গে জড়ো করা যায়, বোঝানো যায়৷ বিশেষ করে কোনো রোগ সম্পর্কে যদি কাউকে সচেতনতার কথা বলা হয় তাহলে কে আগ্রহ নিয়ে শোনে? এ কারণেই আমাদের নাচ, গান, খেলার মাঠ সবকিছু একসঙ্গে আনতে হয়েছে৷
এবারের মেলায় নাচের কোর্সেরও আয়োজন করা হয়েছে৷ পপ, রক জগতের প্রায় ১৫০টি ব্যান্ড এসেছে, তারা পারফর্ম করছে৷ তাদের মধ্যে প্রতিযোগিতাও হয়েছে৷ বড় করে আবার ব্যানারে লেখা রয়েছে স্পোর্ট্স৷ অর্থাৎ এখানে সবকিছু হচ্ছে বেশ সিরিয়াসভাবেই৷
ফ্যাশনের জন্য আলাদা করে কিছু করা হয়নি৷ অল্প বয়স্ক ছেলে মেয়েরা নিজের পছন্দমত বাজারে সবচেয়ে লেটেস্ট ফ্যাশনের পোশাক পরে হাজির হয়েছিল মেলায়৷ এছাড়া বিভিন্ন কোম্পানির প্রতিনিধিরাও দেখিয়েছেন তিনদিনে নানা ধরণের পোশাক৷ এদের মধ্যে ইয়েলো পেইজ তাদের পোশাকের কারণে সবার দৃষ্টি কাড়েন৷ না, তারা ক্যাটালগ বা হলুদ রঙের পোশাক পড়েননি৷
প্রতিবেদক: মারিনা জোয়ারদার, সম্পাদনা: আবদুল্লাহ আল-ফারূক