বার্লিনে আসছে সবাই
২৫ মার্চ ২০১৩এসে সারাদিন ঘুরে দেখলেন, রাতে চলে গেলেন শহর ছেড়ে – এমন হলে হিসেব রাখা কঠিন৷ তাই পর্যটকদের শহর হিসেবে কোনো শহরগুলো এগিয়ে, তা হিসেব করতে গেলে রাত্রিযাপনকে গুরুত্ব দিতেই হয়৷ সেই হিসেবে সবচেয়ে এগিয়ে লন্ডন আর প্যারিস৷ ব্রিটেন আর ফ্রান্সের রাজধানীর সেরা এবং দ্বিতীয় সেরা হওয়ায় আশ্চর্যের কিছু নেই৷ অনেকের কাছে আশ্চর্যজনক মনে হতে পারে জার্মানির রাজধানীর তৃতীয় স্থানে উঠে আসা৷ বার্লিনের নতুন বিমানবন্দরের উদ্বোধন পিছিয়েছে কয়েকদফা৷ তা সত্ত্বেও পর্যটকরা আসছেন দলে দলে!
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অনেক স্মৃতি চিহ্ন বয়ে বেড়াচ্ছে এই শহর, রয়েছে অনেক জাদুঘর, হালে যোগ হয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচ – আকর্ষণের তো শেষ নেই, পর্যটক আসবেনা! পর্যটন বিপণন সংস্থা ভিজিট বার্লিন-এর প্রধান বুর্খহার্ড কিকার তাই যতটা অবাক তার চেয়ে অনেক বেশি উচ্ছ্বসিত৷ উচ্ছ্বাস নিয়েই জানালেন, ‘‘আমরা প্যারিসের খুব কাছাকাছি পৌঁছে যাচ্ছি৷ সেখানে রাতে মোট ৩ কোটি ৬০ লাখ মানুষ থাকেন৷ আশা করছি আগামী ১০ বছরের মধ্যে আমরা ওদের ধরে ফেলবো৷''
মেট্রোপলিটন থেকে কসমোপলিটন শহরের মর্যাদা প্রাপ্তির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বার্লিন৷ এগিয়ে নিচ্ছেন আসলে দেশ-বিদেশের পর্যটকরা৷ মজার বিষয় কি জানেন, বার্লিনে তরুণ পর্যটকরা তুলনায় অনেক কম আসেন৷ ৪০-৪২ বছর বয়সিরাই আসেন বেশি৷ তবে কিকার জানালেন, বার্লিনের লক্ষ্য ৫৫ বা তারও বেশি বয়সিদের বেশি করে আকৃষ্ট করা৷ বার্লিন জুড়ে যেসব গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা এবং জাদুঘর রয়েছে সেগুলোর গুরুত্ব বুঝে সময় নিয়ে দেখার সুযোগ তাদেরই তো সবচেয়ে বেশি৷ তাই বলে লন্ডন বা প্যারিসের চেয়ে থাকা-খাওয়ার খরচ অনেক কম, আছে চলচ্চিত্র উৎসব বার্লিনালে, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ – এসব কি তরুণদের জন্য কম গুরুত্বপূর্ণ? চ্যাম্পিয়ন্স লিগে যদি বায়ার্ন-বার্সেলোনা ম্যাচ হয় তখন তরুণরাও কি হুমড়ি খেয়ে পড়বেন না বার্লিনে!
এসিবি/ডিজি (ডিপিএ)