বার্লিনে কর্মশালা
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১২বিশ্বের নানা দেশের নানা ভাষার চারশ' ছবি প্রদর্শিত হচ্ছে এবারের বার্লিনালেতে৷ কিন্তু ছবি দেখানোই বার্লিনালের সবকিছু নয়৷ একইসাথে রয়েছে চলচ্চিত্র নির্মাণের কাজে ব্যবহৃত নানা প্রযুক্তির সমাবেশ৷ রয়েছে প্রদর্শিত ছবিগুলো নিয়ে আলোচনা, পর্যালোচনা ও প্রশ্নোত্তর পর্ব৷ আবার চলচ্চিত্র অঙ্গনের জন্য সম্ভাবনাময় সৃষ্টিশীল প্রতিভা খুঁজে বের করতেও রয়েছে নানা আয়োজন৷ একদিকে হচ্ছে ট্যালেন্ট ক্যাম্পাস আবার অন্যদিকে, ডয়চে ভেলে একাডেমির উদ্যোগে চলেছে চলচ্চিত্র উৎসব আয়োজন ও ব্যবস্থাপনার উপর পাঁচ সপ্তাহব্যাপী কর্মশালা৷ সেই কর্মশালায় বাংলাদেশ থেকে অংশ নিচ্ছেন ছবি নির্মাতা এবং লেখক হামেদ কিবরিয়া৷
বার্লিনালে'কে ঘিরে চলমান কর্মশালা সম্পর্কে তিনি বললেন, ‘‘বারোটি দেশের চলচ্চিত্র অঙ্গন থেকে বাছাই করে বারোজন প্রতিনিধিকে এই কর্মশালায় অংশগ্রহণের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে৷ এর আওতায় বার্লিনালের আয়োজক ও ব্যবস্থাপকদের সাথে সরাসরি নানা বৈঠকে ও কাজে অংশগ্রহণ করার সুযোগ রয়েছে৷ আবার তাত্ত্বিক দিক নিয়েও নানা আলোচনা ও শ্রেণিকক্ষে পাঠদান করাও হচ্ছে৷ ফলে এখান থেকে অর্জিত জ্ঞান ও দক্ষতা কাজে লাগিয়ে নিজ নিজ দেশে অনুষ্ঠিতব্য চলচ্চিত্র উৎসবগুলোকে আরো সুন্দর করতে পারবেন কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী তরুণ চলচ্চিত্র কর্মীরা৷''
চলচ্চিত্র জগতে নিজের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে জানতে চাইলে কিবরিয়া বলেন, ‘‘আমি নিজেকে একজন চলচ্চিত্র কর্মী বলেই মনে করি৷ তবে আমি বেশ কিছুদিন থেকেই ছবি নির্মাণ করছি৷ আমি ইতিমধ্যে দু'টি প্রামাণ্য চিত্র নির্মাণ করেছি৷ প্রথমটি একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য ছবি ছিল৷ এটি ছিল আমার প্রিয় কবি শামসুর রাহমানের মৃত্যু এবং তাঁর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া নিয়ে৷ দ্বিতীয়টি ছিল বাংলাদেশের কিশোরদের জীবনযাত্রা নিয়ে৷ এ বছর আমি একটি ফিচার ফিল্ম তৈরির পরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছি৷ সেটি কথাশিল্পী সেলিনা হোসেনের উপন্যাস ‘ভূমি ও কুসুম' এর উপর ভিত্তি করে তৈরি করবো৷ এটির চিত্রনাট্যও ইতিমধ্যে সম্পন্ন করেছি৷''
প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক