বার্লিনে দুয়ো শুনলেন ইভানকা ট্রাম্প
২৬ এপ্রিল ২০১৭মঙ্গলবারের ডাব্লিউটোয়েন্টি শীর্ষ সম্মেলন বস্তুত আগামী জি-টোয়েন্টি শীর্ষ সম্মেলনের প্রস্তুতি হিসেবে গণ্য হওয়ার কথা৷ সেই শীর্ষ সম্মেলন ৭ই ও ৮ই জুলাই জার্মানির হামবুর্গ শহরে অনুষ্ঠিত হবে৷ ডাব্লিউউটোয়েন্টি বলতে বোঝায় উওমেনটোয়েন্টি, অর্থাৎ নারী তথা মহিলাদের শীর্ষবৈঠক৷ সেখানে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কন্যার আবির্ভাব, কেননা, জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল গত ১৭ই মার্চ ওয়াশিংটনে নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তাঁর প্রথম সরকারি সাক্ষাতের অবকাশে ইভানকাকে ডাব্লিউটোয়েন্টি উপলক্ষ্যে বার্লিনে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন৷
ঐ সফরে ওয়ার্কফোর্স ডেভেলপমেন্ট সংক্রান্ত একটি আলোচনা সভায় ইভানকাকে ম্যার্কেলের পাশে বসিয়ে বিরূপ সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ এবার বার্লিনে সে ভুল করা হয়নি৷ ম্যার্কেল ও ইভানকার মধ্যে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের প্রধান ক্রিস্টিন লাগার্দকে বসানো হয়েছে৷ তা সত্ত্বেও ম্যার্কেল নানা আভাসে-ইঙ্গিতে তাঁর দূরের অতিথিকে স্বচ্ছন্দ বোধ করানোর চেষ্টা করেছেন৷
নারীর ক্ষমতায়ন
‘ফিমেল এমপাওয়ারমেন্ট’ ছিল আলোচ্য বিষয়৷ কিন্তু সঞ্চালিকা মিরিয়াম মেকেল যখন প্রশ্ন করেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নারী-পুরুষের সমানাধিকারের প্রবক্তা হিসেবে গণ্য করা যায় কিনা – তখন ইভানকা তাঁর বাবা যে তাঁর বিভিন্ন কোম্পানিতে কত শত মহিলাকে উচ্চপদে নিয়োগ করেছেন, সে কথা বলেন৷ এছাড়া ট্রাম্প ইভানকার নিজের বিজনেস ক্যারিয়ারেও তাঁকে সাহায্য করেছেন বলে ইভানকা জানান৷
যুক্তরাষ্ট্রের ‘ফার্স্ট ডটার’ হবার তাৎপর্য্ কী? ইভানকাকে প্রশ্ন করেন মেকেল৷ ‘‘আপনি কার প্রতিনিধি? আপনার বাবার? মার্কিন জনগণের? নাকি আপনার ব্যবসায়িক স্বার্থের?’’ ‘‘শেষোক্তটি নিশ্চয়ই নয়,’’ উত্তর দেন ইভানকা – এবং তার কিছু পরেই নিজেকে ‘শিল্পোদ্যোগী’ বলে বর্ণনা করেন৷ তাঁর বার্লিন সফরের রাজনৈতিক গুরুত্ব সম্ভবত ইভানকার একটি মন্তব্যে ব্যক্ত হয়েছে৷ ইভানকা বলেছেন, তিনি তাঁর ‘‘বাবার কাছে পরামর্শ ও জ্ঞান ফেরত নিয়ে যাবেন৷’’
ইভানকাকে বার্লিনে আসার আমন্ত্রণ জানানোর পিছনে সেটাই মূল উদ্দেশ্য ছিল বলে অনেক জার্মান রাজনীতিক বিশ্লেষকের ধারণা৷
এসি/এসিবি (এপি, ডিপিএ, রয়টার্স)
প্রিয় পাঠক, আপনি কিছু বলতে চাইলে লিখুন নীচে মন্তব্যের ঘরে...