1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বার্লিনে মে দিবসকে ঘিরে নানাদেশের মানুষের সমাবেশ

৫ মে ২০১১

১ মে ছিল বিশ্বময় শ্রমিক দিবস৷ দাবিদাওয়া আদায়ের দিন৷ কিন্তু, জার্মানির রাজধানী বার্লিনে ভিন্ন আবহ সূচিত৷ পথঘাটজুড়ে নানাদেশের মানুষের সমাবেশ৷ মিশ্র সংস্কৃতির সম্মিলন৷ সে সম্মিলন চলছে এখনও৷

https://p.dw.com/p/119Fy
শ্রমিক দিবস উপলক্ষ্যে বার্লিনে মিছিলছবি: dapd
Deutschland Revolutionäre-1.Mai-Demonstration in Berlin Polizei
অপ্রিয় ঘটনা এড়াতে পুলিশের প্রস্তুতিছবি: dapd

সন-তারিখ যোগ করেন নি বাংলার কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়৷ তো, বলা মুশকিল, ৪০ দশকে কখন লিখেছিলেন এই দুই পংক্তি :

মে দিবস দিচ্ছে ডাক

স্বৈরতন্ত্র নিপাত যাক

ওই সময় যে দেশসমূহ স্বৈরতন্ত্রীর ভূমিকায় ছিল, এখন এই অভিধায় ভূষিত করা যাবে না হয়তো৷ সমাজতন্ত্র ধ্বংসের পর বিশ্ব আজ গ্লোবাল ভিলেজে পরিণত৷ এবং, একক মোড়লিপনায় পরিচালিত৷ এই মোড়লিপনা নস্যাৎ করতেই দেশসমাজের বিবেকবান মানুষ পথে নামে, মুখরিত করে রাজপথ৷ যেমন করেছিল ১ মে ১৮৮৯ সালে, শিকাগোর হে মার্কেটে৷ শ্রমিকদের সঙ্গে মালিকপক্ষের বিবাদ, সংঘাত৷ অতঃপর শ্রমিক নিহত৷ সেই দিন থেকে দুনিয়াজুড়ে শ্রমিকদিবস৷

1.Mai Demonstrationen in Berlin
আগের দিন রাতেই দেখা যায় বিক্ষোভের নানা রূপছবি: dapd

মধ্যযুগ থেকে শুরু করে ১৯ শতকের প্রথমার্ধেও ইউরোপে ১ মে ছিল বসন্তকালীন কৃষি উৎসব৷ মধ্যযুগের ইউরোপিয়ানরা গাছের সবুজ পাতায় সজ্জিত হয়ে পাড়া-মহল্লা পরিক্রমণ করতেন৷ কিশলয়ের মুকুট পরে মে কিং (রাজা), মে কুইন (রানী) সাজতেন৷ হৈ-হুল্লোড়ে কৃষি-উৎসবে মেতে উঠতেন৷ সেই সময় এই উৎসবাদি ছিল খুবই জনপ্রিয়৷জার্মান লোকগীতিও রচিত হয়েছে বিস্তর৷

দিনকালে আমূল পরিবর্তন৷১ মে এখন বিশ্ব শ্রমদিবস৷ ছুটির দিন৷ যেহেতু ছুটির দিন, বার্লিন মেতে ওঠে নানাদেশীয় হরেক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে৷ সকাল থেকে গভীর রাত অবধি উৎসব৷পথেঘাটে৷ মানুষের সমাবেশ৷ নাচগান৷ বিশ্বসংস্কৃতির প্রবাহ৷পথঘাট হয়ে যায় বৈশ্বিক এথনিক কালচারের নাটভূমি৷ --- প্রায়-একই কথা পড়ি মঙ্গলাচরণ চট্টোপাধ্যায়ের অনুবাদে রুশ কবি ভ্লাদিমির মায়াকোভস্কির ১ মে নিয়ে লেখা কবিতায় :

একাত্ম হয়েছি জাগ্রত বিশ্বে

একাত্ম হয়েছি স্বাধিকারে, আমাতে

একাত্ম হয়েছি বিপুল জনতায়

একাত্ম হয়েছি পথঘাটে, উৎসবে

আমার একাত্মতা শ্রমিকসংঘে

আমার একাত্মতা পয়লা মে-র আন্দোলনে৷৷

প্রতিবেদন: দাউদ হায়দার, বার্লিন

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক