বালুরঘাটে গরম এড়াতে সকালে ভোটের লাইন, সুকান্তকে তৃণমূলের 'গো ব্যাক'

বালুরঘাট হলো বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কেন্দ্র। তার বিরুদ্ধে তৃণমূলের হয়ে লড়ছেন বিপ্লব মিত্র। বাম-কংগ্রেস জোটের হয়ে লড়ছেন আরএসপি-র জয়দেব কুমার। একসময় বামেরা এখান থেকে বারবার জিতেছেন। তৃণমূলের আমলে জিতেছেন নাট্য পরিচালক অর্পিতা ঘোষ। কিন্তু গতবার এখানে বিজেপি জেতে। উপরের ছবিটি সুকান্ত মজুমদারের।

বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সকাল থেকে বুথে বুথে ঘুরছিলেন। একাধিক বুথে তাকে দেখেই তৃণমূলের কর্মীরা স্লোগান দেয়, 'গো ব্যাক'। সুকান্তও তর্জনী তুলে এগিয়ে যান। এই নিয়ে কিঞ্চিত উত্তেজনাও দেখা দেয়। অন্তত দুটি বুথে এই ঘটনা ঘটে। সুকান্তর অভিযোগ, একটি বুথে বিজেপি-র এজেন্টকে বের করে দেয়া হয়েছিল। তিনি সেখানে গেলে তৃণমূল কর্মীরা স্লোগান দেয়। তৃণমূল বলেছে, সুকান্ত উত্তেজনা বাড়াবার চেষ্টা করেছেন।

পশ্চিমবঙ্গ ও উত্তরবঙ্গ-জুড়ে এখন প্রবল তাপপ্রবাহ চলছে। বেলা একটু বাড়লেই রাস্তাঘাট ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। এই গরমে সকাল সকাল ভোট দেয়ার চেষ্টা করেছেন অনেকে। তাই সকালে অনেক বুথে ছিল লম্বা লাইন। তাড়াতাড়ি ভোট দিয়ে বাড়িতে ঢুকে পড়তে চেয়েছেন তারা।

বেলা বাড়ার পরে বুথে ভোটদাতার সংখ্যা কমতে থাকে। লাইনও ছিল না। অল্প কিছু মানুষ এসে ভোট দিয়ে যাচ্ছিলেন। বেলা এগারোটা পর্যন্ত ৩২ শতাংশের বেশি ভোট পড়ে যায়। ছবিতে আরএসপি প্রার্থী জয়দেব কুমার।

বালুরঘাটের কয়েকটি বুথে ইভিএম বিভ্রাটের জন্য ভোটগ্রহণ কিছুক্ষণ বন্ধ থাকে। ভিভিপ্যাট খারাপ থাকায় গঙ্গারামপুরে এক ঘণ্টার উপর ভোটদান বন্ধ ছিল। উপরের ছবিতে তৃণমূল প্রার্থী বিপ্লব মিত্র।

বালুরঘাটে ছোটখাট কিছু ঘটনা ঘটলেও বড় ধরনের কোনো অশান্তি হয়নি। এক জায়গায় বিজেপি কর্মীকে থাপ্পড় মারার অভিযোগ উঠেছে। তৃণমূল অভিযোগ করেছে, একটি জায়গায় কেন্দ্রীয় বাহিনী ভোটদাতাদের বিজেপি-কে ভোট দেয়ার অনুরোধ করছিল।

এই ভোটদাতার বয়স ৯০ বছর। সকাল সকাল তিনি তার গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করলেন।

নারীরাও প্রচুর সংখ্য়ায় ভোট দিয়েছেন। তাদের মধ্য়ে অনেকে সকালেই ভোটটা দিতে চেয়েছেন।

বালুরঘাটে একটি বুথের কাছে আরএসপি-র ক্যাম্প অফিসের ছবি। পতাকা আছে, কিন্তু কর্মী নেই। বিজেপি ও বামেরা অভিযোগ করেছে, কিছু কেন্দ্র থেকে তাদের কর্মীদের বের করে দেয়া হয়েছে। কিছু বুথে এজেন্টদের সংখ্যা বেশি ছিল।

হিলিতে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের কাছের গ্রামে ভোটের ছবি ছিল নিস্তরঙ্গ। এই বুথে নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন বিএসেফের জওয়ানরা। ভোটদাতারা তাদের প্রশংসা করে বলেছেন, বিএসএফের জন্য নিরাপদে ও নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পেরেছেন তারা।