‘বিএনপি কোনো আসনে ৪০০ ভোট পাবে, তা অবিশ্বাস্য'
১৩ নভেম্বর ২০২০ডয়চে ভেলে বাংলার সাপ্তাহিক ইউটিউব টকশো ‘খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়'-এর এবারের পর্বে অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এবং বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স৷ এবারের আলোচ্য বিষয় ছিল রাজনীতির দুর্বৃত্তায়ন: গাড়ি কেন পোড়ে, কে পোড়ায়৷
অনুষ্ঠানের শুরুতে আলোচনায় উঠে আসে ২০১৮ সালের নির্বাচনেকারচুপির কথা, এর সাথে জড়িত দুর্বৃত্তায়ন ও ভয়ের রাজনীতির প্রসঙ্গ৷ সিরাজগঞ্জ-১, বরিশাল-১সহ বেশ কিছু ভোটকেন্দ্রের সন্দেহজনক ফলাফলের প্রসঙ্গ উঠলে প্রতিমন্ত্রী খালেদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘‘রাজনৈতিক কর্মী হিসাবে এই সংখ্যাগুলি বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়না৷ আমি মনে করিনা কোনো আসনে বিএনপি ৪০০টি ভোট পেতে পারে৷''
এই দাবির ভিত্তি হিসাবে তিনি বলেন বিএনপির রাজনীতির বর্তমান ধারার কথা৷ তিনি বলেন, ‘‘এমন ফলাফল সম্ভব হয় কারণ বিএনপির কেন্দ্রীয় রাজনীতির ধারার কারণে তাদের ভোটাররাই ভোট দিতে যায় না৷ তারা নির্বাচনের কাজে প্রথম দশ-পনেরোদিন মাঠে ছিল, এরপর থেকে তারা শুধু অভিযুক্ত করার রাজনীতি শুরু করে৷ বিএনপি ভোটের রাজনীতি করেনা, তারা অসুস্থ রাজনীতি করে, জনগণের সাথে থাকেনা৷''
এর উত্তরে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, ‘‘এই অভিযোগ সঠিক নয়৷ আমরা কখনোই আধা-মনোযোগ দিয়ে কিছু করিনি৷ আমরা পুরো অংশগ্রহণ করছি, নিয়মনীতি মেনেই করেছি৷ গত নির্বাচনে আমরা এক হাজার ৭০০ এজেন্ট দিয়েছি, তাদের প্রশিক্ষণ দিয়েছি পাঁচ দিন ধরে৷ আমাদের ২৩৫ কর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে৷ নির্বাচনের দুইদিন আগে থেকে আমাদের হুমকি দেওয়া হয়েছে৷ রাষ্ট্রীয় শক্তির বিরুদ্ধে খালি হাতে কীভাবে যুদ্ধ করবেন? মারধর করে নির্বাচনকেন্দ্র থেকে কর্মীদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ তবুও, এর মধ্যেও যারা গেছে তাদেরকেও সরিয়ে দেওয়া হয়েছে৷''
বিএনপির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন যে, এমন কোনো অভিযোগের কথা তাঁরা জানেননা৷ কিন্তু এমরান সালেহ প্রিন্সের মত, ভয়ের আবহ থাকার কারণে মুক্তভাবে নির্বাচনি বা অন্যান্য রাজনৈতিক কার্যকলাপ চালাতে পারছে না বিএনপি৷ তাঁর বক্তব্য, ‘‘আওয়ামী লীগ দেশ চালাতে ব্যর্থ, তারা দুর্নীতি করেছে৷ এরশাদ আমলেও আমরা যা ন্যূনতম রাজনৈতিক সুযোগ সুবিধা দেখেছি, তা এখন নাই৷ আমার সেটা বলতে লজ্জা লাগছে৷''
এছাড়া, আজকের পর্বে আলোচিত হয় দুই দলের জনসংযোগ, আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর নিরপেক্ষতা ও বিরোধীপক্ষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতার মতো বিষয়ও৷
এসএস/জেডএইচ