নিজেকে তুলে ধরছেন ম্যার্কেলের ডেপুটি
১০ মে ২০২১সেপ্টেম্বর মাসে জার্মানিতে সাধারণ নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক তৎপরতা বেড়ে চলেছে৷ চ্যান্সেলর হিসেবে আঙ্গেলা ম্যার্কেলের দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছরের ক্ষমতাকালের পর কে মসনদে বসবেন, তা নিয়ে জল্পনাকল্পনা বেড়ে চলেছে৷ ম্যার্কেলের ইউনিয়ন শিবির ও সবুজ দল সম্প্রতি চ্যান্সেলর পদরপ্রার্থী স্থির করলেও সরকারের শরিক দল এসপিডি গত বছরই সেই কাজ সেরে ফেলেছিল৷ রোববার দলীয় সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে ওলাফ শলৎস সেই স্বীকৃতি পেলেন৷
বিদায়ী সরকারের ভাইস চ্যান্সেলর ও অর্থমন্ত্রী হিসেবে যথেষ্ট অভিজ্ঞ ও বিচক্ষণ নেতা ওলাফ শলৎস৷ তবে শান্ত ও নম্র স্বভাবের মানুষটি নির্বাচনি প্রচারের সময়ে ভোটারদের কাছে কতটা আকর্ষণীয় হতে পারবেন, সে বিষয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে৷ ম্যার্কেলের ধারা বজায় রাখার ক্ষেত্রে শলৎসই সবচেয়ে উপযুক্ত প্রার্থী বলে মনে করেন অনেক বিশেষজ্ঞ৷ অথচ জনমত সমীক্ষায় তার এসপিডি সবুজ দল ও ইউনিয়ন শিবিরের তুলনায় অনেক পিছিয়ে রয়েছে৷ প্রায় ৯৬ শতাংশ ডেলিগেটের সমর্থন পেয়ে রোববার আনুষ্ঠানিক ‘অভিষেক'-এর পর শলৎস আসন্ন নির্বাচনে দলের রণকৌশল তুলে ধরলেন৷ যাবতীয় দুর্বলতা কাটিয়ে জার্মানিকে একবিংশ শতাব্দীর উপযোগী করে তোলার অঙ্গীকার করেছেন তিনি৷
সামাজিক গণতন্ত্রী দল নির্বাচনে জিতলে জার্মানিকে ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জগুলির জন্য প্রস্তুত করে তুলতে চান শলৎস৷ সামাজিক স্থিতিশীলতা বজায় রেখে অর্থনীতির রূপান্তর থেকে শুরু করে ২০৪৫ সালের মধ্যে কার্বন নির্গমন পুরোপুরি বন্ধ করার অঙ্গীকার করেন তিনি৷ স্বাস্থ্য পরিষেবা, স্কুল ও গণপরিবহণ ব্যবস্থা আরও মজবুত করে তুলতে তিনি বিশাল অংকের সরকারি বিনিয়োগ করতে চান৷ ডিজিটাল প্রযুক্তির ক্ষেত্রে জার্মানির দুর্বলতাও কাটিয়ে তুলতে চান শলৎস৷ শ্রমিকদের ন্যুনতম মজুরি বাড়িয়ে ঘণ্টায় ১২ ইউরো করারও প্রতিশ্রুতি দেন তিনি৷ চ্যান্সেলর হলে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে আরও মজবুত করতে চান এই এসপিডি নেতা৷
জনপ্রিয়তার বিচারে পিছিয়ে থাকলেও শলৎস নিজের অভিজ্ঞতা ও দলের স্থিতিশীলতাকে হাতিয়ার করতে চান৷ ফেডারেল সরকারে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব ছাড়াও হামবুর্গ নগর-রাজ্যের মেয়র হিসেবেও তার যথেষ্ট প্রশাসনিক অভিজ্ঞতা রয়েছে৷ বিশেষ করে চ্যান্সেলর পদপ্রার্থী হিসেবে আরমিন লাশেট যেভাবে নিজের ইউনিয়ন শিবিরের মধ্যেই সমর্থন পেতে হিমশিম খাচ্ছেন, সেই দুর্বলতা তুলে ধরছে এসপিডি দল৷ তুমুল জনপ্রিয়তা সত্ত্বেও প্রশাসনের কাজে সবুজ দলের চ্যান্সেলর পদপ্রার্থী আনালেনা বেয়ারবকের অভিজ্ঞতার অভাব নিয়ে সংশয় কাটছে না৷
এসবি/কেএম (ডিপিএ, এএফপি)