বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে নিউইয়র্ক পুলিশের বাড়াবাড়ি
২১ ডিসেম্বর ২০২০জর্জ ফ্লয়েডের প্রকাশ্যে পুলিশি নির্যাতনে মৃত্যুর পর প্রতিবাদ-বিক্ষোভে ফেটে পড়েছিল নিউইয়র্ক৷ ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার' আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছিল নিউইয়র্ক থেকে সারা যুক্তরাষ্ট্র হয়ে বিভিন্ন দেশে৷ ফ্লয়েড মারা যান গত ২৫ মে, মিনিয়াপোলিসে৷ বিক্ষোভ আন্দোলন চলার সময় বেরিয়ে আসে পুলিশি নির্যাতনে কৃষ্ণাঙ্গ নারী ব্রেওনা টেলরের নিহত হওয়ার খবর৷ ২৬ বছর বয়সি ব্রেওনাকে গত ১৩ মার্চ লুইসভিলের অ্যাপার্টমেন্টে ঢুকে গুলি করে হত্যা করে সাদা পোশাকের পুলিশ৷ ১৫ মে তার বাবা মামলা করেন৷‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার' আন্দোলন আরো তুঙ্গে ওঠে৷
বিক্ষোভ আন্দোলন নিয়ন্ত্রণে নিউইয়র্ক পুলিশের ভূমিকা নিয়ে তখনই প্রশ্ন ওঠে৷ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করা বিভিন্ন ভিডিওতে পুলিশের নিষ্ঠুরতার অনেক প্রমাণও উঠে আসে৷ কিন্তু কর্তৃপক্ষ তখন পুলিশের পাশেই থেকেছে৷
নিউ ইয়র্কের মেয়র বিল ডি ব্লাসিওরও পুলিশের ওপর অগাধ আস্থা ছিল তখন৷ তবে শুক্রবার প্রকাশিত ১১১ পৃষ্ঠার এক তদন্ত প্রতিবেদন তিনি পুরোপুরি মেনে নিয়েছেন৷
নিউইয়র্ক সিটির তদন্ত বিভাগের প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘‘নিউইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্ট (এনওয়াইপিডি) ফ্লয়েড হত্যার প্রতিবাদের সময় জনতাকে নিয়ন্ত্রণ করতে জোর খাটানোর কৌশল প্রয়োগ করেছে এবং অতিরিক্ত জোর খাটানোর কারণে উত্তেজনা আরো বেড়েছে৷'' তদন্তকারীরা মনে করেন, এমন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যথাযথ প্রশিক্ষণের অভাবের কারণেই মূলত এমন আচরণ করেছে পুলিশ৷
বিক্ষোভ আন্দোলন চলার সময় পুলিশের পাশে থাকলেও তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের পর নিষ্ঠুরতার অভিযোগ মেনে নিয়েছেন ডি ব্লাসিও৷ প্রতিবেদন মেনে নিয়ে এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘‘আমাদের যে ভিন্নভাবে এবং আগের চেয়ে ভালোভাবে কাজ করতে হবে এটা খুব পরিষ্কার৷''
১১১ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে ভবিষ্যতে পুলিশের সংযত আচরণ নিশ্চিত করার জন্য ২০টি পরামর্শ দিয়েছেন তদন্ত প্রতিবেদকরা৷ প্রস্তাবগুলো মেনে নিয়ে এক বিবৃতিতে পুলিশ কমিশনার ডার্মট শেয়া-ও বলেছেন, ‘‘পুলিশের জন্য ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা এবং প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করার সময় যৌক্তিক এবং সুচিন্তাপ্রসূত ২০টি প্রস্তাব কাজে আসবে৷''
এসিবি/ কেএম (রয়টার্স)